Newtown Murder Case: বন্ধুর ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার এক যুবকের সুটকেসবন্দি দেহ, হাড়হিম করা ঘটনা নিউটাউনে
Newtown Murder Case: প্রায় পাঁচ মাস আগে নিউটাউনের তারুলিয়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মালদার সাজিদ হোসেন
হাইলাইটস:
- দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেলুটেপ দিয়ে মুখ সাঁটা অবস্থায়
- ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই যুবক
- সাজিদের বন্ধু গৌতম সিং-কে আটক করেছে পুলিশ
Newtown Murder Case: নিউটাউনের তারুলিয়া এলাকায় বন্ধুর ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেলুটেপ দিয়ে মুখ সাঁটা অবস্থায়। উনিশ বছর বয়সী ওই মৃত যুবকের নাম সাজিদ হোসেন। বাড়ি মালদার কালিয়াচক এলাকায়। প্রায় ৫ মাস আগে নিউটাউনের তারুলিয়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল সাজিদ। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই যুবক। সেখানেই আলাদা তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত গৌতম সিং নামের এক ব্যক্তি। সেই গৌতমের ঘর থেকেই শুক্রবার ওই যুবকের সুটকেসবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যেই ওই যুবককে খুনের অভিযোগে গৌতম সিং এবং তার সহকারী পাপ্পু ঘোষকে নিউটাউন থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গত ৪ তারিখ থেকে সাজিদের কোনও খোঁজ মিলছিল না। খবর যায় তাঁর মালদার কালিয়াচকের বাড়িতেও। কলকাতায় এসে সাজিদের বাবা থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই মতো পুলিশও খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেই সময়েই তারুলিয়া এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে সাজিদকে একটি মদের দোকান থেকে বেড়োতে দেখা যায়। তাঁর সাথে গৌতম সিংকেও ওই ফুটেজে দেখা যায়। সেখান থেকেই পুলিশ প্রথমে গৌতম সিংকে চিহ্নিত করে এবং তারপর তাকে আটক করে।
গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকায় তার রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেই সূত্রেই গৌতমের সঙ্গে পরিচয় সাজিদের। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয় সাজিদকে। তারপরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে সেলুটেপ জড়ানো হয়। এদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে সাজিদকে খুনের আগে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে তার পরিবারের কাছে এসএমএস-ও করা হয়েছিল। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে, টাকা-পয়সা সংক্রান্ত বিষয়েই খুন করা হতে পারে।
শহর তথা রাজ্যের আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।