Mental Health Condition: আত্মহত্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ কেন বাড়ছে… বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে প্রতি ১০০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যার কারণে ঘটে। ২০২১ সালে প্রায় ৭,২৭,০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল, আত্মহত্যার আগে গড়ে ২০টি প্রচেষ্টা করা হয়।
Mental Health Condition: কেন মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট কি বলছে পড়ুন
হাইলাইটস:
- মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্মহত্যা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয়
- বিশ্বে প্রতি ১০০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যার কারণে ঘটে
- বিশ্বব্যাপী দশ লক্ষ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন
Mental Health Condition: আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে কত মানুষ নীরবে তাদের দুঃখ এবং সংগ্রামের কাছে হাল ছেড়ে দেয়? যখন চোখে স্বপ্ন এবং বুকে আশা নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষরা তাদের জীবন শেষ করার পদক্ষেপ নেয়, তখন এটি কেবল তাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং সমগ্র সমাজ একটি মূল্যবান জীবন হারায়। এই কারণেই আত্মহত্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) আজ সমগ্র বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে প্রতি ১০০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যার কারণে ঘটে। ২০২১ সালে প্রায় ৭,২৭,০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল, আত্মহত্যার আগে গড়ে ২০টি প্রচেষ্টা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী দশ লক্ষ মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হল বিষণ্ণতা, যা মোট রোগের দুই-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী।
Did you know? Every year, depression and anxiety drain US$ 1 trillion from the global economy.#MentalHealth isn’t just personal—it’s a financial imperative.
This shows up as reduced work participation, productivity and output. 🔗 https://t.co/3f6s7ODB7d pic.twitter.com/W7Ob1NQabq
— World Health Organization (WHO) (@WHO) September 2, 2025
মানসিক রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি
২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, মানসিক অসুস্থতার সংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার তুলনায় অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরূপ মানসিক ব্যাধির হার ১৩.৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
• উদ্বেগজনিত ব্যাধির লক্ষণগুলি প্রায়শই শৈশব বা কৈশোরে দেখা যায় ।
• এটি ৪০ বছর বয়সের পরে বেশি দেখা যায় এবং ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।
We’re now on Telegram – Click to join
তরুণরা সবচেয়ে বড় শিকার
এটি বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে মানসিক অসুস্থতার প্রকোপ সবচেয়ে দ্রুত (প্রায় ১.৮%) বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি উদ্বেগের বিষয় কারণ এই বয়সেই একজন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেন এবং ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করেন।
লিঙ্গ ভিত্তিক পার্থক্য
• পুরুষদের মধ্যে ADHD এবং বৌদ্ধিক বিকাশের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি বেশি দেখা যায়।
• মহিলাদের মধ্যে বিষণ্ণতা এবং খাদ্যাভ্যাসের ব্যাধি বেশি দেখা যায় ।
আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আত্মহত্যা কেবল একটি কারণে ঘটে না বরং অনেকগুলি কারণ একসাথে এই পরিস্থিতির দিকে পরিচালিত করে।
• শৈশবের যেকোনো সমস্যা
• চাপপূর্ণ পরিবেশ
• একাকীত্ব এবং সহায়তা ব্যবস্থার অভাব
• সামাজিক কলঙ্ক
• মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারের অভাব
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেবল মানসিক হাসপাতালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। সাধারণ হাসপাতাল এবং বড় মেডিকেল কলেজগুলিতেও এগুলি উপলব্ধ থাকা প্রয়োজন। এর জন্য প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স এবং পরামর্শদাতাদের একটি দল প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।