Mamata Banerjee in Kakdwip: আবারও অভিষেকের সাথে একই মঞ্চে দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপের জনসভায়
গত ২৫শে এপ্রিল কোচবিহার থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Mamata Banerjee in Kakdwip: তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতাকে দেখার জন্য তৃণমূল কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন
হাইলাইটস:
• আবারও একই মঞ্চে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
• জনজোয়ার কর্মসূচির সমাপ্তি সভা কাকদ্বীপে একসঙ্গে দেখা যাবে তাঁদের
• অভিষেকের দু মাস ব্যাপি কর্মসূচি প্রায় শেষের পথে
Mamata Banerjee in Kakdwip: গত ২৫শে এপ্রিল কোচবিহার থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে দু’মাস ব্যাপী এই নয়া কর্মসূচি। যা পুরোটাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লাগাতার চলছে জনসভা, রোড শো। তবুও অভিষেককে আটকানো সম্ভব হয় নি। মাঝে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের জন্য দুদিন কলকাতায় থাকেন তিনি। কিন্তু আবারও পুনরায় জোরকদমে চলে কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন দিতে এটি একটি অন্যতম প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আগামী ১৬ই জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে হবে নবজোয়ার কর্মসূচির সমাপ্তি সভা। আর সেই জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইংরেজবাজার, শালবনির পর এবার কাকদ্বীপে। সূত্রের খবর, কাকদ্বীপে কর্মসূচি সেরে গঙ্গাসাগরেও যেতে পারেন মু্খ্যমন্ত্রী। এর আগে মালদহ এবং শালবনির সভামঞ্চে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটকে। তার সাথেই একমঞ্চে বক্তব্যও রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ১৬ই জুন একসাথে তৃণমূল সুপ্রিমো এবং দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’-কে দেখা যাবে কাকদ্বীপে। ফলে তৃণমূলের অন্দরে উত্তেজনা তুঙ্গে।
গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ কোচবিহার থেকে এই জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। মোট ১৫ টি জেলা ঘোরা হয়ে গিয়েছে তাঁর। মাঝে বাঁকুড়া থেকেই সিবিআই তলবে কলকাতায় ফেরেন তিনি। তখন বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তবে অভিষেক জেলায় ফিরে এলে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয় জনসংযোগ কর্মসূচি। গতকাল দুপুর অবধি অভিষেক ছিলেন রাজ্য রাজনীতি অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল নন্দীগ্রামে। শুক্রবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থেকে নন্দকুমারে গিয়েছিলেন অভিষেক।
তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিষেক তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মধ্যে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামে তাঁর ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রায় এত মানুষের জমায়েত দেখে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পদযাত্রা শেষের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আরও বলেন, নন্দীগ্রামে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলা মিছিলে এত জনজোয়ার দেখে তিনি খুবই উচ্ছ্বসিত। এমনকি সুপ্রিমোকে তিনি জানিয়েছেন যে, এখন নন্দীগ্রামের মানুষ ভয় ভীতি ত্যাগ করে বাইরে বেরিয়ে আসছেন। এমনকী রাত সাড়ে দশটাতেও টেঙ্গুয়া মোড়ে পদযাত্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন।
এদিনের একান্ত আলোচনায় অভিষেক নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলেন, এখন আর কেউ ‘গদ্দার’দের চাইছে না। চাইছে, যত তাড়াতাড়ি ‘গদ্দার’রা বিদায় নেয় তত ভালো। এদিকে এই নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে মমতা ও অভিষেককে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট, ‘ভাইপোর নবজোয়ার ব্যর্থ। পঞ্চায়েত স্তরে অবশেষে আসল নবজোয়ার আনছেন পিসি। কাটমানির নবজোয়ার!’ তবে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের সফর শেষে করে শনিবার নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রবেশ করবেন হাওড়ায়।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।