Mamata Banerjee Explodes after ED summons Abhishek & wife: ফের অভিষেক-পত্নীকে ইডির নোটিশ! কেন্দ্রের সরকারের ‘অমানবিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
Mamata Banerjee Explodes after ED summons Abhishek & wife: রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুবাই যাওয়াতে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
হাইলাইটস:
• আবারও অভিষেক-পত্নীকে তলব করলো ইডি
• গতকাল তাঁর বিদেশ যাওয়া আটকে দিয়েছিল ইডি
• শুধু তাই নয়, নোটিশও ধরানো হয়েছে রুজিরাকে
Mamata Banerjee Explodes after ED summons Abhishek & wife: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ৮ই জুন সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে রুজিরাকে। অভিষেক-পত্নীকে এভাবে নোটিশ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমোর। ইডির সময়জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি। সাথে সাথেই প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগও করলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল আটকানোর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অমানবিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল ইডির তরফে অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করা হল। আগামী ৮ই জুন বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশও দেওয়া হয় তাঁকে। দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাই পারি দিচ্ছিলেন রুজিরা। অভিবাসন দফতর বাধা দেওয়ায় তিনি আর যেতে পারেননি। এবার এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। এবং সাথে সাথে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতিরও অভিযোগ তুললেন তিনি।
গতকাল সকাল ৭টায় দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাই পারি দেওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। তারপর রুজিরা বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যান। অভিবাসন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার কান্ড মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ বের করেছিল ইডি। সে কারণেই রুজিরার বিদেশযাত্রায় বাঁধা দিয়েছে অভিবাসন দফতর। তারপরই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ দুই সন্তানকে নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছন অভিষেক-পত্নী। বিমান বন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে বিমান ধরার কথা ছিল তাঁর। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, ইডির মামলায় অভিষেক এবং রুজিরাকে রক্ষাকবচ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও বাধা নেই তাঁদের বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে। রুজিরাকে বিমানবন্দরে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে আবারও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।
সোমবার নবান্নে এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ও একটা পঞ্জাবি মেয়ে। খুব অসুস্থ ওর মা। সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদন দিয়েছিল। যদি কখনও বাইরে যায় ইডি-কে জানাতে বলার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই অনুযায়ী দুবাই যাওয়ার কথা ইডি-কে জানিয়েছিল অনেকদিন আগেই। তখন ইডি বলতে পারত, তুমি যেও না। কিন্তু এয়ারপোর্টে গিয়ে হাতে নোটিস ধরানো যে ৮ তারিখে তুমি এসো। অমানবিক জিনিস চলছে। এখন মানুষকে সাহায্য করার পরিবর্তে কী দানব-দৈত্যগিরি করা যায় সেদিকে এদের চোখ।’ সাথে সাথে তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে মৃত্যুমিছিল চলছে, কোনও সমবেদনা নেই, কোনও লজ্জা নেই। মৃত্যুমিছিলে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধামাচাপা দিতে চাইছে। এই প্রতিযোগিতায় আমি যেতে চাই না। আমি সবসময় মানুষকে সাহায্য করতে চাই।’
ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার কান্ড মামলায় একাধিক দফায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দিল্লিতে অভিষেক ও রুজিরাকে ডেকে পাঠানোও হয়েছিল। কিন্তু অভিষেক গেলেও দিল্লির দফতরে যাননি তাঁর স্ত্রী রুজিরা। তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে অভিষেকের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধানিষেধ নেই, এমনই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী, অভিষেকের বিরুদ্ধে যেকোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে। তবে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলে তাতে কোনো বাধা নিষেধ থাকবে না।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।