Bangla News

Mamata Banerjee: দেড় বছরের শিশুকেও ছাড়ল না! মুখ্যমন্ত্রীর বাঙালি নির্যাতনের অভিযোগ উড়িয়ে দিল দিল্লি পুলিশ

এদিন বীরভূম থেকে ভাষা আন্দোলনের সূচনার দিনে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাতে দেখা যায়, একটি দেড় বছরের শিশু এবং তার মাকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনাই ভিডিওতে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাঙালি হয়রানির অভিযোগে এবার খোদ মুখ খুলল দিল্লি পুলিশ

হাইলাইটস:

  • ভিনরাজ্যে হওয়া বাঙালি হেনস্থার শিকারে গর্জে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • এদিন বাঙালি হয়রানির একটি ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী
  • এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকেই খারিজ করল দিল্লি পুলিশ

Mamata Banerjee: সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালি হেনস্থার অভিযোগের এই দাবিকে মাত্র দুই শব্দে “ভিত্তিহন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার” কটাক্ষ করে খারিজ করে দিল খোদ দিল্লি পুলিশ। ভারতের রাজধানীর বুকে বাঙালি মা এবং শিশুকে হেনস্থার যে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, তা পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন পূর্ব দিল্লির ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া।

We’re now on WhatsApp- Click to join

এবার মুখ খুলল দিল্লি পুলিশ

এদিন বীরভূম থেকে ভাষা আন্দোলনের সূচনার দিনে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাতে দেখা যায়, একটি দেড় বছরের শিশু এবং তার মাকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনাই ভিডিওতে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। এই ভিডিওকে হাতিয়ার করেই বিজেপির দিকে তোপ দাগিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর লিখেছিলেন, “এদেশে বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপির শুরু করা ভাষা সন্ত্রাসের নৃশংস হিংসা থেকে পরিত্রাণ পেল না একটি শিশুও। এ দেশকে এরা ঠিক কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”

We’re now on Telegram- Click to join

গতকাল এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবিকে খারিজ করে উড়িয়ে দিল পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেছেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে ওই ভিডিওর ভিত্তিতে এদিন তদন্তে নামে খোদ দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরিক্ষাও করা হয়েছে এবং এই ভিত্তিতেই একগুচ্ছ প্রমাণ জড়ো করেন এর তদন্তকারী দল।”

ওনার কথায়, “সেই প্রমাণ নথির ভিত্তিতে আমরা ওই ভিডিওতে দেখানো সেই পরিবারের সাথেও যোগাযোগ করি। এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তখনই বেরিয়ে আসে আসল সত্যটা। আমরা জানতে পারি যে, ওই পরিবার এই ভিডিওটা তৈরি করেছিল তাদের এক আত্মীয়র কথা মতো। তাকে আবার এক মালদহের এক নেতা তা নির্দেশ দিয়েছিল। এই ভিডিও সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

Read More- ফের বাংলাদেশি সন্দেহে নির্যাতিত বাংলার বাসিন্দারা, এবার বাদ গেল না শিশু এবং মহিলাও! গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে, দিল্লি পুলিশের তুলে দেওয়া এই তথ্যের ভিত্তিতে পায়ের তলায় মাটি পেয়েছে বিরোধী সংগঠন। ‘এই পুরো ঘটনাটি তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিত। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে তারা নিজেদের মতো স্বেচ্ছায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের উপর চড়াও হয়নি কোনও পুলিশই দাবি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।’

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button