Kolkata-Bangkok Highway: আর থাকবে না বিমান টিকিটের খরচা! তৈরী হচ্ছে ভারত-ব্যাংকক দীর্ঘ মহাসড়ক, কলকাতার ওপর দিয়ে যাবে এই মহাসড়ক
Kolkata-Bangkok Highway: যাতায়াতে সুবিধা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ভারত থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত তৈরী করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক হাইওয়ে
হাইলাইটস:
• এবার কলকাতা থেকে ব্যাংকক সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে সড়ক পথে
• আগামী ৪ বছরের মধ্যে তৈরী হয়ে যাবে কলকাতা-ব্যাংকক আন্তর্জাতিক হাইওয়ে
• কলকাতা-ব্যাংকক মহাসড়কের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য হবে ২,৮০০-২,৮২০ কিলোমিটার
Kolkata-Bangkok Highway: বর্তমানে থাইল্যান্ড তথা ব্যাংকক ভ্রমন্বপিপাসু মানুষের কাছে খুবই প্রিয় স্থান। বাজেট ফ্রেন্ডলি বিদেশ ভ্রমণের কথা উঠলেই আগে মাথায় আসে থাইল্যান্ড-ব্যাংকক। বিশেষ করে নববিবাহিত কাপলদের মধুচন্দ্রিমার জন্য এই স্থান দারুণ জনপ্রিয়। বন্ধুবান্ধবদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার পক্ষেও আদর্শ স্থান এই ব্যাংকক। থাইল্যান্ড বা ব্যাংকক ভ্রমণ বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি তাই যে খুব বেশি খরচ হয় তা নয়। কিন্তু সমস্যা হয় ফ্লাইটের টিকিট নিয়ে। কারণ সবচেয়ে পকেট হালকা হয় বিমানে যাতায়াতের জন্যই। এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময়ে বিমানের ভাড়া অনেকটা বেড়েছে। তার উপর পিক মরসুমে টিকিটের দাম আরও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, অনেকক্ষেত্রে ফ্লাইটও বাতিল হয়ে যায় অথবা পাওয়া যায় না সিট।
কিন্তু খুশির খবর হল, এবার টেনশনের পালা শেষ হতে চলেছে বিমানের টিকিট নিয়ে। কারণ ভারত থেকে ব্যাংকক পর্যন্ত হাইওয়ে তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে কলকাতা এবং ব্যাংকক সড়কপথে যুক্ত হতে চলেছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে। এই মহাসড়ক তৈরি হতে প্রায় ৪ বছর সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। আসুন তাহলে এই মহাসড়ক সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাক।
• কলকাতা-ব্যাংকক সংযুক্তকারী মহাসড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
একাধিক রাজ্য এবং দেশের মধ্য দিয়ে যাবে কলকাতা এবং ব্যাংককের মধ্যে তৈরি হওয়া এই মহাসড়ক। মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের আওতাধীনে তৈরী হবে কলকাতা এবং ব্যাংকককে সংযুক্তকারী মহাসড়কের এই প্রকল্পটি। উন্নত প্রযুক্তির এই মহাসড়কে যাতায়াত বেশ সুবিধাজনক এবং রোমাঞ্চকর হতে চলেছে। এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকবে যাত্রীরা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকালে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও এই ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক নির্মাণ করা হলে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্রি প্রেস জার্নালের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, মহাসড়কের কিছু অংশের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
• এই মহাসড়ক গতিবিধি:
এই মহাসড়কটি ব্যাংকক থেকে শুরু হয়ে থাইল্যান্ডের মায়ে সোটের, সুখোথাইয়ের মতো শহরগুলির মধ্যে দিয়ে গিয়ে, মায়ানমারের মান্দালে, কালেওয়া, তামু, ইয়াঙ্গুন দিয়ে যাবে। ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে কোহিমা, শ্রীরামপুর, মোরে, গুয়াহাটি, কলকাতা এবং শিলিগুড়ির মধ্য দিয়েও এই মহাসড়ক যাবে। এই মহাসড়কের সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ২,৮০০ থেকে ২,৮২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ভারতের ওপর দিয়েই এই মহাসড়ক সবচেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করবে। এই মহাসড়ক তৈরির প্রকল্প প্রসঙ্গে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র সংক্রান্ত উপমন্ত্রী বিজাওয়াত ইসরাবকদি জানিয়েছেন, এই সড়ক প্রকল্পের থাইল্যান্ডের অংশের বেশিরভাগ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। তবে আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে অন্যান্য রুটে সংযোগ করতে।
• ব্যাংকক ভ্রমণের আদর্শ সময়:
ব্যাংকক ভ্রমণের সেরা সময় শীতকালে। অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকে ব্যাংককে শীতকাল থাকে। সেই সময় ব্যাংকক ভ্রমনটাই আদর্শনীয় সময়। এই সময়ে এখানে ঠান্ডা থাকে এবং আবহাওয়া বেশ মনোরম হয়ে পড়ে সন্ধ্যায়। মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে বর্ষাকাল শুরু হয় ব্যাংককে। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলে। বর্ষাকালে ব্যাংকক ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। গ্রীষ্মকালেও ব্যাংককে বেশ কষ্ট হয়।
• বিমানে ব্যাংকক পৌঁছনোর উপায়:
পৃথিবীর প্রায় সব জায়গা থেকে সহজেই ব্যাংকক পৌঁছনো যায়। প্রধান বিমানবন্দরগুলির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাংকক ভালো ভাবে সংযুক্ত। ডন মুয়াং বিমানবন্দর এবং সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩০ মিনিটে ব্যাংকক পৌঁছোনো যায়। কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি, সিডনি, প্যারিস এবং ফ্রাঙ্কফুর্টের মতো একাধিক আন্তর্জাতিক শহরের সঙ্গে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর সংযুক্ত। ব্যাংকক যাওয়ার জন্য, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, এয়ার ইন্ডিয়া, জেট এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ এবং ইন্ডিগোর মতো ফ্লাইটগুলি কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি এবং ব্যাঙ্গালোর বিমানবন্দর থেকে চলাচল করে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।