Bangladesh Student Protest: পড়শি দেশে জারি কারফিউ, নেমেছে সেনা! মৃত্যু বেড়ে ১০৫
Bangladesh Student Protest: ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের পর এবার বাংলাদেশে জারি হল কারফিউ
হাইলাইটস:
- বেশ কয়েক দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনরা আন্দোলনে নেমেছে
- আর এই আন্দোলনের ফলে সংঘর্ষে জড়িয়েছে পুলিশ ও আন্দোলনকারী
Bangladesh Student Protest: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই যেন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে পড়শি দেশে। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। অবস্থা শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এই কোটা মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে শুক্রবার ছুটির দিন সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকায় চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ঝরেছে কিছু তাজা পড়াও। আজ, শনিবার ঢাকা মেট্রো স্টেশনেও আন্দোলনকারীদের আগুন লাগিয়ে দেওয়ার খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
আর এর মধ্যেই শুক্রবার রাতেই পড়শি দেশে কারফিউ জারি করে সেনা নামিয়েছে হাসিনা সরকার। শুধু তাই নয়, উত্তেজনাকর অবস্থা ঠেকাতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবারও এই সংঘর্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৫।
যদিও সরকারের তরফে নির্দিষ্ট করে মৃতের সংখ্যা এখনও বলা হয়নি। গতকালও সারা বাংলাদেশ জুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিই পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। যার ফলে শুক্রবারও বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আন্দোলনকারীরা। গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীর রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব এবং বর্ডার গার্ডদের দেখা যায়। এদিকে আওয়ামি লিগের বহু নেতা-কর্মীরাও আন্দোলন দমন করতে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। তাই পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এদিন সকাল থেকে চলে হেলিকপ্টারে নজরদারী। তবে এদিন বাংলাদেশের নরসিংদীর কারাগারে হামলা চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। যার ফলে কারাগারে থাকা কয়েকশো বন্দি পালিয়ে গিয়েছে। তারপর আন্দালনকারীরা ওই কারাগারে আগুনও ধরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা যখন আন্দোলন থামাতে নারাজ, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারও হিংসা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছে।
We’re now on Telegram – Click to join
অন্যদিকে, উত্তপ্ত অবস্থার জেরে বাতিল হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকায় কোনও ট্রেন প্রবেশ বা ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন কোথাও যাবেও না। তবে বাংলাদেশে থাকা প্রত্যেক ভারতীয় এখন নিরাপদেই রয়েছেন বলেই জানিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাঁদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি, জরুরি নম্বরও চালু করা হয়েছে ভারতীয়দের জন্য। তবে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে নারাজ বিদেশ মন্ত্রক। বিষয়টিকে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
Read more:- রক্তে ভাসছে বাংলাদেশের মাটি! পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মৃত সাংবাদিক-সহ ৩২
এইরকম বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।