Indian Railways: বাংলায় রেল ওভার ব্রিজ বানাতে অসম্মতি রাজ্যের! কিন্তু কেন? উত্তর খুঁজেছি আমরা

Indian Railways: মূলত বন্দেভারত এক্সপ্রেসের যাতায়াত নিশ্চিত করতেই রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী রেল মন্ত্রক

হাইলাইটস:

  • বাংলায় ২০টি জায়গায় রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে উদ্যোগী রেল
  • সেমি হাইস্পিড ট্রেনগুলির গতিবেগে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে একাধিক লেভেল ক্রসিং
  • সেই বাধা কাটাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে রেল

Indian Railways: রাজ্যের ২০টি জায়গায় রেল ওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে উদ্যোগী রেল। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন। মূলত বন্দেভারত এক্সপ্রেসের সুনিশ্চিত চলাচল করতেই এই উদ্যোগ। দেশের সেমি হাইস্পিড ট্রেনগুলির গতিশীল চলাচলে বড় বাধা তৈরী করে একাধিক লেভেল ক্রসিং। সেই বাধা কাটানোর জন্যই রেল ওভার ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা করছে রেল।

নিয়মানুযায়ী রেল ওভার ব্রিজ বানাতে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়কেই অর্থ দিতে হবে। এই ২০টি ওভার ব্রিজ নির্মাণে কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের যেই আর্থিক অবস্থা তাতে এই বিপুল টাকা রাজ্যের পক্ষে খরচ করা অসম্ভব। যদিও রেলের তরফে রেল ওভার ব্রিজ বানানোর জন্য একাধিকবার আবেদন করা হচ্ছে। নবান্ন যুক্তি দিয়ে জানাচ্ছে, বিভিন্ন খাতে অর্থ আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই বৃহৎ অঙ্কের টাকা রাজ্যের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়।

এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছিলেন, ‘রেল অপারেশনের জন্যই আমরা রাজ্যকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম আমরা সাত জায়গায় রেল রোড ওভার ব্রিজ করতে চাই। নিয়মানুযায়ী উভয় পক্ষকেই এই রেল রোড ওভার ব্রিজ বানাতে সাহায্য করতে হয়। লাইনের উপরের অংশে রেলের তরফে কাজ করা হয়। রাজ্য বাকি অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ করে দেয়।’ তবে রাজ্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছে এই মুহূর্তে তারা এই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে না।

আর এই নিয়েই রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘কেন্দ্র বিপুল অর্থ বকেয়া রেখেছে। বারবার বলেও কেন্দ্র টাকা দেয়নি। এই অবস্থায় এই বিপুল অর্থ খরচ করা অসম্ভব।’ অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘মেলা, উৎসবের পিছনে রাজ্য অর্থ খরচ করছে। কিন্তু মানুষের সাহায্যে আসবে এমন কোনও কাজ করছে না তারা।’ অবশ্য এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই রেল জানিয়েছে নিজেদের অর্থ ব্যয় করেই তারা সাতটি রেল রোড ওভার ব্রিজ নির্মাণ করবে। রাজ্যের তরফে যেন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.