Bangla News

Imran Khan: পাক জেলে অকথ্য অত্যাচারের শিকার ইমরান খান! ঠিক কোন কোন অভিযোগে হাজতবাস পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর?

যদিও এই ধরনের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে ইমরান খান ভালো আছেন। তবে তাঁর তিন বোন-নোরিন খান, আলেমা খান এবং উসমা খানকে নাকি তাঁদের ভাইয়ের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

Imran Khan: জেলবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগগুলি রয়েছে…

হাইলাইটস:

  • প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ এবং তারপরই হাজতবাস
  • কিন্তু জানেন কী কেন হাজতবাস করছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?
  • এখনই জেনে নিন ইমরানের খানের হাজতবাসের আসল কারণগুলি

Imran Khan: সম্প্রতি গুজব ছড়ায় যে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নাকি রাওয়ালপিন্ডির জেলেতেই মারা গেছেন। এই আবহেই উঠে আসে বেশ কিছু জরুরী তথ্য। প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের কারাবাসের কারণ, অভিযোগ ও সাজাপ্রাপ্তি ফের উঠে এসেছে চর্চায়।

We’re now on WhatsApp- Click to join

যদিও এই ধরনের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে ইমরান খান ভালো আছেন। তবে তাঁর তিন বোন-নোরিন খান, আলেমা খান এবং উসমা খানকে নাকি তাঁদের ভাইয়ের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বোনদের অভিযোগ, আদিয়ালা জেলে তাঁরা ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানালে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে নির্যাতন করা হয় তাঁদের। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন যে তাঁদের সঙ্গে ইমরানকে গত তিন সপ্তাহ ধরে দেখা করতো দেননি।

We’re now on Telegram- Click to join

প্রসঙ্গত, ইমরান খানকে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায় একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই তাঁকে ইসলামাবাদের আদালত তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়।

এই রায়ে তাঁকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কোনো পদে থাকার ক্ষেত্রেও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। গ্রেফতারির ঠিক কিছু মাস আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে অন্তত ৮৫টি ভিন্ন মামলায় তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “প্রতি প্রায় দু’দিন অন্তরই কোনো না কোনো মামলা চলে আসত।”

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে জমি দুর্নীতির জন্য ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খবর সূত্রে, একই মামলায় তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন আদালতের এই রায় সেই জেলেই দেওয়া হয়, যেখানে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাস থেকে ইমরান খান বন্দি রয়েছেন।

২০১৮ সালে একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা (২৫.১২ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের জমি নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। এই দম্পতি। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) অবশ্য বলে যে জমিটি নাকি দাতব্য উদ্দেশ্যে দান করা হয়েছিল।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যেসব রাষ্ট্রীয় উপহার পেয়েছিলেন, তার মধ্যে ১৪ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উপহার বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগ অনুসারে, উপহারগুলি তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল না, বরং তা ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি।

Read More- ‘বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ নেই!’ এদিন ইমরান খানের অবস্থা জানতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি পুত্র কাশিমের

২০২৩ সালে তাঁকে গ্রেফতারের পর যে হিংসা মারামারি হয়েছিল, তাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও দেওয়া হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এই একই মামলায় একাধিক সমর্থকের ইতিমধ্যে সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০২২ সালে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত প্রেরিত একটি গোপন তারবার্তা তিনি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন, এই অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও এই মামলায় পরে তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে যান।

অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে ছিল ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরার আগের স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পর এবং ২০১৮ সালে তাঁদের বিয়ের মাঝে বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময় না মেনে ইসলামিক আইন ভঙ্গ করেছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগটিও পরে খারিজ করা দেওয়া হয় বলেই খবর।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button