Hafiz Saeed News: ভারতের প্রধান নম্বর শত্রু হাফিজ সঈদের খেল খতম! গুলিতে ঝাঁঝরা আবু কাতাল, পাকিস্তান থেকে এল বড় খবর
তথ্য অনুযায়ী, এই হামলার সময় হাফিজ সঈদ পাকিস্তানি সেনার কোর কমান্ডারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরছিল। তার সঙ্গে ছিল ডানহাত আবু কাতালও।
Hafiz Saeed News: এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে হাফিজ সঈদের ডানহাত আবু কাতালের
হাইলাইটস:
- হামলা চালানো হয়েছে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সঈদের উপর
- হাফিজ সঈদের উপর এই হামলার পিছনে কে আছে?
- এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে তার ডানহাত আবু কাতালের
Hafiz Saeed News: পাকিস্তান থেকে বড় খবর সামনে এসেছে। লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সঈদের (Hafiz Saeed) গুলি লাগার খবর পাওয়া যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে। সূত্রের খবর, সে পাকিস্তানের ঝেলাম থেকে যখন তার নিজের ডেরায় ফিরছিল, তখনই নাকি তার উপর গুলির বৃষ্টি হয়। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় গুলি লেগে তার ডানহাত আবু কাতালের মৃত্যু হয়েছে। তবে হাফিজ সঈদের অবস্থা সংকটজনক বলে বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
তথ্য অনুযায়ী, এই হামলার সময় হাফিজ সঈদ পাকিস্তানি সেনার কোর কমান্ডারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরছিল। তার সঙ্গে ছিল ডানহাত আবু কাতালও। তখনই তার গাড়িতে চলে গুলির বৃষ্টি। এই হামলায় কাতাল মারা গেলেও সঈদ গুরুতরভাবে আহত হয়। জানা গেছে, তাকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Lashkar-e-Taiba terrorist Abu Qatal, kin of 26/11 Mumbai terror attack mastermind Hafiz Saeed, gunned down in Pakistan by unidentified gunman.
Lashkar chief Hafiz Saeed's nephew Abu Qatal SHOT DEAD by 'Unknown gunmen' in Pakistan 🇵🇰#HafizSaeed | #Terrorist pic.twitter.com/omFFlrUw0z
— Sumit (@SumitHansd) March 16, 2025
হাফিজ সঈদ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT) এবং জামাত-উদ-দাওয়া (JuD)-এর প্রতিষ্ঠাতা। ভারতে একাধিক বড় সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ডও এই হাফিজ সঈদই। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার প্রধান অভিযুক্তও ছিল হাফিজ। ওই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
হাফিজ সঈদের জন্ম হয় ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরগোধা জেলায়। পাকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (UET), লাহোর থেকে পড়াশোনা শেষ করে হাফিজ। তারপর পাকিস্তান থেকে সোজা সে সৌদি আরব চলে যায়, আর সেখানেই কট্টর ইসলামিক মতাদর্শে আসক্ত হয় হাফিজ। এরপর ১৯৮০ সাল নাগাদ সে আফগানিস্তানে গিয়ে জিহাদিদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রশিক্ষণ নেয়।
ভারতে কোন কোন ঘটনায় সে জড়িত ছিল –
• ২০০১ সালে সংসদ হামলায় যুক্ত
• ২০০৬ সালে মুম্বই লোকাল ট্রেন বিস্ফোরণ (২০৯ জনের মৃত্যু)
• ২০০৮ সালে মুম্বাই সন্ত্রাসবাদী হামলা (১৬৬ জনের মৃত্যু)
• ২০১৬ সালে উরি হামলা (১৯ ভারতীয় সেনা শহিদ)
• ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা (৪০ সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ)
১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময় হাফিজ সঈদ পাকিস্তানে লস্কর-ই-তইবা প্রতিষ্ঠা করে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এরও সমর্থন ছিল এই সংগঠনের সঙ্গে। হাফিজের এই সংগঠন ভারত বিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত এবং জম্মু ও কাশ্মীরে অনেকগুলি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়। যার ফলে ২০০২ সালে ভারত এবং আমেরিকা লস্কর-ই-তইবাকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে, যার পর হাফিজ সঈদ জামাত-উদ-দাওয়া (JuD) নামে আরও একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। যদিও, এই সংগঠনও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গেই জড়িত।
We’re now on Telegram – Click to join
জাতিসংঘ হাফিজ সঈদকে বিশ্বের সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে এবং আমেরিকাও তার উপর ১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৩ কোটি টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এদিকে পাকিস্তান সরকারও তার উপর কিছু লোকদেখানো কার্যকলাপ প্রয়োগ করলেও সবসময় তাকে বাঁচানোরই চেষ্টাই করেছে তারা।
Read more:- মস্কোর কনসার্ট হলে জঙ্গি হামলায় নিহত ৬০, হামলার দায় স্বীকার করল জঙ্গিগোষ্ঠী ISIS! রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালো ভারত
২০১৯ সালে পাকিস্তানের FATF-এর গ্রে লিস্টে নাম আসার পর, হাফিজ সঈদকে টেরর ফান্ডিং-এর মামলায় গ্রেফতার করে পাকিস্তান সরকার এবং ১০ বছরের সাজাও দেয়। যদিও, এটি শুধুমাত্রই আন্তর্জাতিক চাপের ফল ছিল। কারণ এরপর পাকিস্তানই তাকে সুরক্ষা প্রদান করে এসেছে।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।