Ghatal Master Plan: ২০২৭ সালের মার্চেই শেষ হবে কাজ! এবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিরোধী-শাসকের জোরদার তরজা
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে স্থায়ীভাবে নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের অধীনে গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন (জিএফসিসি)-এর কাছে ১২১২ কোটি টাকা ব্যয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা পাওয়ার জন্য একটি প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) জমা দিয়েছে।
Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অবস্থা জানাল রাজ্য সরকার, আগামী বছরের মার্চ মাসে শেষ হবে কাজ, আশাবাদী রাজ্য
হাইলাইটস:
- ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ বিজেপির
- বিরোধীর আচরণে পাল্টা জবাব শাসক দলের
- এদিন এক বিবৃতি দিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অবস্থা জানানো হয়েছে
Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ গেরুয়া শিবিরের। পাল্টা জবাবে বিজেপির আচরণকে তীব্র কটাক্ষ করে আক্রমণ করে শাসক দল। রাজ্য সরকারের তরফে থেকে বিবৃতি জারি করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অবস্থা জানানো হয়েছে। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ এবং জলপথ বিভাগ দুই মেদিনীপুরের ৬৫৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার একটি সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করেছে বন্যা মোকাবিলার জন্য, যা বন্যা কবলিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২টি পৌরসভা এবং ঘাটাল মহকুমা সহ ৮টি ব্লক জুড়ে যার বিস্তার।
We’re now on WhatsApp- Click to join
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অবস্থা
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে স্থায়ীভাবে নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের অধীনে গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন (জিএফসিসি)-এর কাছে ১২১২ কোটি টাকা ব্যয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা পাওয়ার জন্য একটি প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) জমা দিয়েছে। তবে, রাজ্য সরকারের গত ১১ বছর ধরে, আজ পর্যন্ত কোনও আর্থিক সহায়তার অনুমোদন করেনি ভারত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য।
We’re now on Telegram- Click to join
ভারত সরকারের তরফে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে, ২০১৮-২০২১ সালে প্রকল্প এলাকায় রাজ্য সরকার পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করে মোট ১১৫.৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৭টি নদী, রাজ্য সরকারের বাজেট থেকে যার মোট ব্যয় ৩৪১.৪৯ কোটি টাকা সম্পূর্ণ করা হয়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা বিবে মুখ্যমন্ত্রী চনা করে ঘাটাল সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার তাঁর প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বন্যার্তদের প্রতি রাজ্যের মাননীয়া, এ প্রকল্পের অবশিষ্ট এহেন অংশগুলি নিজস্ব বাজেট থেকে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেন যার মোট ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ।
২০২৫-২০২৬ সাল থেকে শুরু করে দুই বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থির করা হয়েছে সময়সীমা। ইতিমধ্যে, মুখ্যমন্ত্রী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ করেছেন মোট ৫০০ কোটি টাকা। মাঠে পাঁচটি স্লুইস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই, এর বর্তমান অগ্রগতি প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ। প্রায় সম্পন্ন হয়েছে চন্দ্রেশ্বর খালের খনন কাজ।
ঘাটাল পুরসভা এলাকায় শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে দুটি পাম্প হাউসের কাজ, জারি করা হয়েছে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার। আহ্বান করা হয়েছে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের শিলাবতী নদী, সোলাতোপা, পুরাতন কাঁসাই, পারং, তমাল, বুড়ি গঙ্গা, পুরাতন সোলাতোপা চ্যানেলের খননের জন্য দরপত্র। আশা করা হচ্ছে এই প্রকল্পটি ২০২৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।