Durgapur Case: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের ওপর অনাস্থা নির্যাতিতার বাবার, আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে জানালেন CBI তদন্তের দাবি
নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “দোষীদের আমি শাস্তি চাই। দিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। অগ্রগতি হয়েছে পুলিশের তদন্তের, তবে তাও আমার সন্দেহ রয়েছে। আরও ভাল তদন্ত হবে সিবিআই তদন্ত হলে। আমি অনুরোধ করব, দ্রুত দোষীরা শাস্তি পাবে সিবিআই তদন্ত করলে।”
Durgapur Case: তদন্তে গতি এলেও প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে CBI তদন্তের আর্জি জানান নির্যাতিতার বাবা
হাইলাইটস:
- সম্প্রতি, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে পরিবারের ফের নয়া অভিযোগ
- এদিন আরজি করের তুলনা টেনে CBI তদন্তের জন্য দাবি
- কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না দাবি নির্যাতিতার বাবার
Durgapur Case: ফের দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে নয়া মোড়। নির্যাতিতার বাবা দাবিতে এবার সিবিআই তদন্তের অনড়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, যতই পুলিশ তদন্ত এগোচ্ছে বলা হোক না কেন, অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না। সিবিআই তদন্ত হলে তবেই প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়বে আর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে দাবি নির্যাতিতার বাবার।
We’re now on WhatsApp- Click to join
প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুললেন নির্যাতিতার বাবা
নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, “দোষীদের আমি শাস্তি চাই। দিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। অগ্রগতি হয়েছে পুলিশের তদন্তের, তবে তাও আমার সন্দেহ রয়েছে। আরও ভাল তদন্ত হবে সিবিআই তদন্ত হলে। আমি অনুরোধ করব, দ্রুত দোষীরা শাস্তি পাবে সিবিআই তদন্ত করলে।” এই কথা প্রসঙ্গে তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি করের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেননি। তাই এবার চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। ন্যায়বিচার হবে সিবিআই তদন্ত হলে।”
We’re now on Telegram- Click to join
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের এহেন ঘটনায় প্রথমে গণধর্ষণের তত্ত্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশের কাছে নির্যাতিতা গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, “একজনই ধর্ষক।” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি স্বয়ং এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা স্পষ্ট করেছেন। যদিও ধর্ষণেরই ইঙ্গিত মিলেছে মেডিক্যাল রিপোর্টে, যা তদন্তে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
View this post on Instagram
গত সোমবার ঘটনাস্থলে আলাদা আলাদাভাবে অভিযুক্তদের এবং ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে। হাসপাতালের বেরনোর পথ থেকে নির্যাতিতা এবং তাঁর সহপাঠী যে রাস্তা ধরে গিয়েছিলেন, খতিয়ে দেখা হয়েছে সেই রাস্তাও। পুলিশ উদ্ধার করে সেই রাতে ধৃতদের পরনে থাকা পোশাকও। নির্যাতিতার সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর গ্রেপ্তার করা হয় তাকেও। সিপি জানিয়েছেন, প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয় নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা নিয়েও। তাঁর কাছে মোবাইল থাকা সত্ত্বেও সে কেন ঘটনার কথা কাউকে জানাননি, বা কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশকে কেন খবর দেননি, এটা নিয়েও উঠছে একশে এক প্রশ্ন।
অন্যদিকে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি আরও জানিয়েছেন যে, “সবরকমভাবে নির্যাতিতার বাবাকে সাহায্য করা হচ্ছে। সঠিক পথেই এগোচ্ছে ঘটনার তদন্ত। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সব অভিযুক্তকে।” তবে নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য যে, তদন্তে গতি থাকলেও পুলিশের উপর তাঁদের পূর্ণ আস্থা আসেনি। তাই নির্যাতিতার বাবা দাবি সিবিআই তদন্তের দাবি।
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।