Durgapur Case: দুর্গাপুরে ছাত্রীকে গণ নির্যাতনের ঘটনায় এবার নয়া মোড়! গ্রেপ্তার নির্যাতিতার বন্ধু, ঘটনায় কী ভূমিকা ছিল তাঁর?
এই ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতার বন্ধুকে আটক করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাকে। প্রথম থেকেই নির্যাতিতার ওই বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহই হয়েছিল পুলিশের।
Durgapur Case: ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের ঘটনায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও রেকর্ড করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট
হাইলাইটস:
- দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক পড়ুয়াকে গণ নির্যাতন করা হয়
- মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা ওয়াসেফ আলিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে
- নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের সহপাঠীকেও শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করল পুলিশ
Durgapur Case: দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নির্যাতনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা ওয়াসেফ আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা যে অভিযোগ করেছিল, সেখানে অভিযোগ ছিল এই সহপাঠীর বিরুদ্ধে, তাকে শেষ অবধি এবার গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
We’re now on WhatsApp- Click to join
এই ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতার বন্ধুকে আটক করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাকে। প্রথম থেকেই নির্যাতিতার ওই বন্ধুর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহই হয়েছিল পুলিশের। এরপরে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেট রেকর্ড করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রথম দিন মেয়েটি যে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছিল। তাতে এই সহপাঠীর বিরুদ্ধে তাঁর কোনওরকম অভিযোগ ছিল না। মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দীর সময় নির্যাতিতা বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন। তার এবং তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্যাতিতার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
We’re now on Telegram- Click to join
প্রসঙ্গত, আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল চৌধুরী দুর্গাপুরের মেডিকেল পড়ুয়া নির্যাতনকাণ্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নির্যাতিতার বন্ধুর পোশাকও।
View this post on Instagram
ভিক্টিমের বয়ান অনুসারে, জানা গিয়েছে এই অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ধর্ষণও করেছে বলে, তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বাকিদের ভূমিকাও। কমিশনার বলেছেন, “সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বন্ধুর ভূমিকাও। তাঁকেও লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাই তাঁর জামা-কাপড়ও বাজেয়াপ্ত করা হয়।”
এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোনও। বাকি প্রত্যেক অভিযুক্তের ফোনও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২), ৩০৮(২) ও ৩১৮(২) ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভিক্টিমের গোপন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। কমিশনার বলেন, “আমরা ভিক্টিমের পরিবারের সাথেও সবসময় যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসনও তাঁদের পাশে আছে।”
এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।