Bangla News

Delhi Earthquake: প্রাতঃকালে তীব্র কম্পনে কেঁপে উঠল রাজধানী, কম্পনের মাত্রা ৪ হওয়ার সত্ত্বেও কম্পন কেন এত তীব্র ছিল?

সূত্র অনুসারে জানা গেছে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪, অর্থাৎ মাঝারি ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু তাও এই কম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে।

Delhi Earthquake: দিল্লির ভূমিকম্প নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? কেন বারবার দিল্লিতে ভূমিকম্প হচ্ছে?

হাইলাইটস:

  • আজ ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে দিল্লিতে ভূমিকম্পটি হয়েছে
  • এই ভূমিকম্পর মাত্রা ছিল ৪
  • দিল্লির পর আজ সকাল ৮টা ২ মিনিটে বিহারে হয়েছে ভূমিকম্প

Delhi Earthquake: আজ ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির সাথে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বলেছে এর আসল উৎসস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়ায়, যা মাটি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি হয়েছে বলে জানা গেছে যার জন্য ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসেছিলেন নয়া দিল্লি, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দারা।

সূত্র অনুসারে জানা গেছে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪, অর্থাৎ মাঝারি ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু তাও এই কম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আসল কারণ যেটি কম্পনের উৎসস্থল মাটি থেকে খুব একটা গভীরে ছিল না। কিন্তু সেটি ছিল জনবহুল এলাকার খুবই কাছাকাছি। শহরের মধ্যে এই কম্পনের উৎসস্থল হওয়ার জন্য আরও বেশি করে কম্পন অনুভূত হয়েছে। দিল্লি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা IV-এর মধ্যে পড়ে যেটি হল মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। সিসমোলজিস্টরা এই পরিস্থিতির উপরে ক্রমাগত নজর রাখছেন।

We’re now on WhatsApp – Click to join

দিল্লির এই ভূমিকম্পের ঘটনাটিতে কেন এত জোরে কম্পন অনুভূত হল?

এই প্রশ্নের উত্তরে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছেন। এই কারণগুলির দেখুন –

১. দিল্লির মধ্যেই ছিল উৎসস্থল: আজকের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল শহরের মধ্যেই। এর জন্য তৈরি হওয়া কম্পন খুব তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে। মাটির গভীরে সেটি ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ খুব কম ছিল।

Read more – বছরের শুরুতেই জোরালো ভূমিকম্প নেপাল-তিব্বত সীমান্তে, আফটার শকে কাঁপল কলকাতা-দিল্লিও

২. কম্পনের উৎসস্থল খুব গভীরে ছিল না: আজকের কম্পনটির আসল উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে অগভীরে। এর জন্য রিখটার স্কেলে মাত্রা ৪ হওয়ার সত্ত্বেও কম্পন গভীরভাবে অনুভূত হয়েছিল।

৩. শহরের স্ট্রাকচার: দিল্লি থেকে শুরু করে নয়ডা, গাজিয়াবাদে একাধিক বহুতল রয়েছে। উচ্চতার কারণে এই বহুতল বাড়িগুলিতে কম্পন্ন অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে।

৪. দিল্লির কিছু কিছু এলাকায় নরম অ্যালুভিয়াল মাটি রয়েছে যেটি কম্পনের তরঙ্গকে ছড়িয়ে দেয় ফলে সেই কারণে আরও বেশি করে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

কেন বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে দিল্লিতে?

ভূ-বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, দিল্লির এই ভৌগলিক অবস্থানটি এমন এক জায়গায় রয়েছে যা মহেন্দ্রগড়-দেরাদুন চ্যুতিরেখার খুবই কাছাকাছি। হিমালয়ান রেঞ্জের থেকে দিল্লির দূরত্ব মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার। এই হিমালয় পর্বতটি ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে তৈরি হয়েছিল। এই দুই পাতের মধ্যে সংঘর্ষ এখনও ঘটে চলেছে বলে জানা গেছে। এর ফলে প্রাই সেখানে কম্পন অনুভূত হয়।

এবিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ভূবিজ্ঞানী সুজীব কর বলেছেন, ‘দিল্লির এই ভূমিকম্পের সময় ছিল প্রায় ৩২ সেকেন্ড এবং তার আসল উৎসস্থলটি ছিল দিল্লি শৈলশিরার উপরে বলে জানা গেছে। আর এই জন্যই কম্পন এত বিশালভাবে অনুভূত হয়েছে।’

We’re now on Telegram – Click to join

এর আগে গত ২৩শে জানুয়ারি দিল্লি ও তার পাশাপাশি এলাকায় প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কিন্তু সেই কম্পনের আসল উৎসস্থল ছিল চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে। আবার তার দুই সপ্তাহ আগে ১১ই জানুয়ারি দিল্লি ও তার পাশাপাশি এলাকা আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ফলে কেঁপে উঠেছিল।

সোমবার, মানে আজ দিল্লির ভূমিকম্পের আড়াই ঘণ্টার পর আবার বিহারের সিওয়ানে কম্পন অনুভূত হয়। আজ সকাল ৮টা ২ মিনিটে সিওয়ানে ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বলেছেন, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রাটি ছিল ৪। যা মাটির উপরভাগ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের আসল উৎসস্থল।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button