Chandrayaan-3 Landing: ইতিহাস গড়ল ভারত! চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল ভাবে অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

Chandrayaan-3 Landing: চাঁদের রহস্যময় দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছতে পারা প্রথম দেশ হিসেবে নতুন করে ইতিহাস লিখল ভারতবর্ষ!

 

হাইলাইটস:

  • চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তথ্য মানুষের কাছে এখনও অজানা
  • ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখল
  • বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের জমিতে অবতরণ করল চন্দ্রযান ৩

Chandrayaan-3 Landing: ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত! সারা দেশ তো উচ্ছ্বসিত ছিলই, আগ্রহের সাথে তাকিয়ে ছিল সারা বিশ্বই। অবশেষে অপেক্ষার শুভ অবসান। ইতিহাসের দুয়ার গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ভারতবর্ষ অবশেষে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামিয়ে এক নতুন ইতিহাস তৈরী করল। ভারতবর্ষের মহাকাশবিজ্ঞানের পরিসরে ঘটে গেল এক মহাবিপ্লব।

নির্ধারিত দিনের নির্ধারিত সময়ে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের জমিতে অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩। ইসরো আগেই জানিয়েছিল, চাঁদে অবতরণের আগে শেষ ২০ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। গোটা চন্দ্র অভিযানে এই কয়েক মিনিটই সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মত ছিল তাদের! কিন্তু, সেই ফাঁড়া কাটিয়েই সফলতার মুখ দেখল এই অভিযান। ‘ইসরো’র প্রধান আগেই জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযান ৩-এর সফলভাবে চাঁদে ল্যান্ড করার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

বুধবারই ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তথ্য মানুষের কাছে এখনও অজানা। তাই চন্দ্রযান-৩ অভিযান সাফল্য পেলে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনো প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নাম থাকবে ভারতের। আর সেটাই হল। এখনও অবধি পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন( বর্তমানে রাশিয়া), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন চাঁদের মাটিতে তাদের মহাকাশযান সফলভাবে নামাতে পেরেছিল। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর এই তালিকার চতুর্থ দেশ হল ভারত।

গত ১৪ই জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই মহাকাশযানের ল্যান্ডারের নাম ‘বিক্রম’ এবং রোভারের নাম ‘প্রজ্ঞান’। প্রথমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। বিক্রমের সফলভাবে অবতরণ করার পর সেটি ‘প্রজ্ঞান’ রোভারকে চাঁদের মাটিতে ছাড়বে। চাঁদের বুকে এবার আসল কাজ শুরু করবে ‘প্রজ্ঞান’। এই প্রজ্ঞানই চাঁদের বুকে ঘুরে ঘুরে তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। আর বিভিন্ন অজানা সব তথ্য পৃথিবীতে পাঠাতে থাকবে।

দেশ সম্পর্কিত এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.