Bike Taxi: অ্যাপ ক্যাব থেকে ই-কমার্স সংস্থার সাথে যুক্ত বাইক চালকদের ‘কমার্শিয়াল’ লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল সরকার, এই লাইসেন্স পেতে হলে খরচ কত?

Bike Taxi: মূলত বাণিজ্যিক পরিষেবার সাথে যুক্ত বাইক চালকদের আইনি জটিলতার থেকে মুক্ত করার জন্য তাঁদের ‘কমার্শিয়াল’ লাইসেন্স দেওয়া হবে

হাইলাইটস:

  • বাইক অরোহীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও জটিলতা কাটাতেও ‘কমার্শিয়াল’ লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে
  • শনিবার থেকেই পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে বাণিজ্যিক মোটরবাইককে পৃথক লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে
  • পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে কসবাতে এই লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে

Bike Taxi: এতদিন ব্যক্তিগত লাইসেন্স নিয়ে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করে শহর ও শহরতলিতে চালানো হচ্ছিল মোটরবাইক। বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাবের চালক সহ খাবার সরবরাহকারী এবং ই-কমার্স সংস্থার বাইক চালকরাও এই ধরনের মোটরবাইক ব্যবহার করছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সরকার পরিকল্পনা করেছিল এই ধরনের বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা মোটরবাইকগুলিকে আলাদা লাইসেন্স দিতে। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া শুরু হল।

শনিবার থেকেই সল্টলেকে পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে বাণিজ্যিক মোটরবাইককে পৃথক লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে কসবাতে এই লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

কলকাতায় প্রায় ১৫ হাজার বাইক চালক অ্যাপ নির্ভর সংস্থার সাথে বাণিজ্যিক পরিবহণে যুক্ত আছেন। এর পাশাপাশি আরও ১ লাখ ১০ হাজার বাইকচালক বিভিন্ন খাবার সরবরাহকারী সংস্থায় যুক্ত। এনাদের সকলকেই এই বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিতে হবে।

বাণিজ্যিক পরিষেবার সাথে যুক্ত বাইক চালকদের আলাদা সিরিজের নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। এই নম্বর প্লেট হবে হলুদ রঙের। এর ফলে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত বাইকগুলিকে পৃথক ভাবে চিহ্নিত করা যাবে।

এই আবেদনে করতে খরচ পড়বে ১০০টাকা। আবেদনপত্র পরীক্ষা এবং অন্যান্য কাজের জন্য আরও ৪০ টাকা দিতে হবে। আবেদন নথিভুক্ত করার জন্য লাগবে ৩৪০ টাকা। পাশাপাশি একটি সাধারণ বাইককে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করার জন্য ১০৯০ টাকা খচর পড়বে। নতুন নম্বর প্লেটের জন্য খচর পড়বে ৫০০ টাকা। ৫টি জেলায় বাইকের পারমিটের জন্য ২০০০ টাকা লাগবে। এ ছাড়াও বাণিজ্যক গাড়িগুলিকে আলাদা বিমা ব্যবস্থার অধীনে আনা হবে বলে জানা গেছে।

সরকারের এই ব্যবস্থা নেওয়ার পেছনে কারণ হল, বাণিজ্যিক পরিষেবা দিতে গিয়ে বাইক চালকদের নানা আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। পাশাপাশি বাইক অরোহীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই আলাদা করে বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

রাজ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.