Bangla Newsনিৰ্বাচন

Bihar Election: দশমবারের জন্য কি মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ, নাকি জিতবেন তেজস্বী? এবার বিহার বিধানসভায় কে?

ইতিমধ্যেই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলে এনডিএ উত্তেজিত হয়ে রয়েছে। আপাতত প্রহার গুনছে জয়ী হওয়ার। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিনটি ফ্যাক্টর এখানে সবথেকে বেশি কাজ করতে হবে।

Bihar Election: এবার বিহারের মসনদে বাজিমাত কার? নীতীশ নাকি তেজস্বীর? জেনে নিন

হাইলাইটস:

  • ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিহারে ভোটের গণনা প্রক্রিয়া
  • প্রশ্ন উঠছে কে কামব্যাক করবে, নীতীশ নাকি তেজস্বী?
  • বিহারে এবার ভবিষ্যৎ গড়তে চলেছে কে? বিশদ জানুন

Bihar Election: ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কামব্যাক করতে চলেছেন নীতিশ কুমার নাকি তেজস্বী অভিষেক তা নিয়ে তোড়জোড় বিহারে। কারণ এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে গণনা। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে যে কার কপালে বিজয়ের তিলক উঠতে চলেছে।

We’re now on WhatsApp- Click to join

বিহারে রাজনীতি উত্তপ্ত, ভবিষ্যৎ গড়বে কে নীতীশ নাকি তেজস্বী?

ইতিমধ্যেই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলে এনডিএ উত্তেজিত হয়ে রয়েছে। আপাতত প্রহার গুনছে জয়ী হওয়ার। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিনটি ফ্যাক্টর এখানে সবথেকে বেশি কাজ করতে হবে। আর সেগুলো হল- মহিলাদের জন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প, সোশ্যাল অ্যারিথমেটিক, নীতীশ কুমার ফ্যাক্টর। আর এই সমস্যাগুলো কাজ করলেই পরে দশমবারের মতন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার।

We’re now on Telegram- Click to join

এদিকে জোরদার টক্কর দিয়েছে আরজেডি নেতৃত্বের ৭টি দলের মহাগঠবন্ধন তথা এমজিবি। যদিও এই ভোটের আগে প্রচারে তাদের ভরকেন্দ্র ছিল পরিবর্তন এবং কর্মসংস্থান। আর এর বাইরে জোটের তেজস্বী যাদব ছিল অন্যতম ভরসা। তবে, অন্যদিকে বিহারে কুড়ি বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন নীতিশ কুমার। যার ফলে সেই জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী। তবে এইসবের পরও জাত পাতের অঙ্ক থাকছে।

কিন্তু, গত কয়েক বছরে মুসলিম যাদব ফ্যাক্টর এর বাইরে যেইভাবে আর যেটির অন্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী এবং অতি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মধ্যে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে তা প্রতিটি ঘরের অন্তর এপ্রিল চাকরির যে প্রতিশ্রুতি তা কিনা ভাবে নিয়েছে যুব সমাজ এবং এখন দেখার বিষয় মহিলারা কতটা তেজস্বীকা ভরসা করছে সেটি।

ইতিমধ্যেই বিহারের এবারের ভোটদানের হার চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিহারে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে এর মধ্যে কোন বার এত মানুষ ভোট দেয়নি। সাধারণ মানুষ হিসেবে ভোটদানের হার বেশি হলে তা প্রতিষ্ঠান বিরোধীরা হিসেবে এবং পরিবর্তনের পক্ষ বলেই ধরে নেওয়া হয়। যদি এর ব্যতিক্রমও বহুবার হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন একটাই যে বিপুল ভোট কি আদতে SIR-এর নাম করে তড়িঘড়ি করে বহু মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে। তবে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, বিহারে প্রথম দফায় ৬৫.০৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৮.৭৬ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। দু’দফা মিলিয়ে বিহারে মোট ভোটদানের হার হচ্ছে ৬৬.৯১ শতাংশ যা গতবারের তুলনায় হল ৯.৬২ শতাংশ বেশি! ঐতিহ্য বজায় রেখে এবারেও বিহারে পুরুষদের অনুপাতে বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন মহিলারা যা প্রায় ৭১.৬ শতাংশ।

Read More- ‘লোকের ২টো বউ থাকতে পারে, আমার কি বান্ধবী থাকতে পারে না?’, এবার অর্পিতা ইস্যুতে সরাসরি জবাব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

তবে, আজ যে পক্ষই এই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এবারে বিহারের ভোটের বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না গুরুত্বের কোন অংশেই। কারণ, বেকার সমস্যা থেকে আইন-শৃঙ্খলের সমস্যা, কাজের খোঁজে দলে দলে মানুষের বিহার ছেড়ে অন্য ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজ করা, সবগুলোই ভোটের আগে অন্যতম কারণ ছিল। যদিও বিহারের ভোট চুরি প্রমাণ দিয়েও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এর আগে অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে সেটা এতে কতটা প্রভাব ফেলেছে তাও এবার স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button