Bangladesh Student Protest: রক্তে ভাসছে বাংলাদেশের মাটি! পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মৃত সাংবাদিক-সহ ৩২
Bangladesh Student Protest: সোনার বাংলা, আজ ছাত্রছাত্রীদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে
হাইলাইটস:
- সরকারি চাকরিতে কোটা বা সংরক্ষণে বৈষম্যের অভিযোগে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা এখন কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির চেহারা নিয়েছে
- বৃহস্পতিবার রাতে সারা দেশে বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা
- হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সমগ্র দেশ
Bangladesh Student Protest: বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। সরকারি চাকরিতে কোটা বা সংরক্ষণে বৈষম্যের অভিযোগে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা এখন কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির চেহারা নিয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করেছে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
We’re now on WhatsApp – Click to join
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। জানা কাছে, তাঁদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। শুধু তাই নয়, আহতের সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার ছাড়িয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকা থেকে সমস্ত রুটের বাস চলাচলও এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এমনকি গাড়িতে এবং মোটরবাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে গোটা বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, তাঁদের দমাতেই নাকি পুলিশ এমন হিংস্র হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলো বন্ধ করেও চালানো হয়েছে নির্মম হত্যালীলা।
We’re now on Telegram – Click to join
সূত্রের খবর, নিহত সাংবাদিক হাসান মেহেদী ঢাকা টাইমস নামক সংবাদ সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার পর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। তবে তাঁর শরীরে একাধিক গুলির ক্ষত থাকায়, মৃত্যু হয় তাঁর। ঢাকার হাসপাতালে এখন শুধু লাশের উপর লাশ। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।
Read more:- বাংলাদেশে পঞ্চমবার সরকার গড়ার পথে আওয়ামী লীগ! ওপার বাংলার কুর্সিতে মুজিবকন্যা
এদিকে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয়দের জন্য জানিয়েছে, প্রয়োজন না থাকলে এখনই বাড়ির বাইরে না যাওয়াই ভালো। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালেও সংরক্ষণ-বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। সে দেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ সংরক্ষিত এবং ৪৪ শতাংশ সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আর সেই সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তবে তখন আন্দোলন থামাতে সমর্থ হলেও বর্তমানের পরিস্থিতিতে কার্যত ব্যাক ফুটে চলে যাচ্ছে হাসিনা সরকার।
এইরকম বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।