Bangla News

Bangladesh News Update: সম্প্রীতির কবি নজরুলের সমাধির পাশেই ভারতবিদ্বেষী ওসমান হাদির কবর! ক্ষোভ প্রকাশ কবির পরিবারের

কবি নজরুলের জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গে কাজী পরিবার এবং বাসিন্দারা এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কবির গ্রামে দেওয়ালজুড়ে সম্প্রীতির বার্তা, গবেষণাগার এবং সংগ্রহশালা থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশে তৈরি হিংসার বাতাবরণে যাতায়াত কমেছে তাদের।

Bangladesh News Update: কবি নজরুলের সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে সমাধিস্থ করায় নতুন করে শুরু বিতর্ক

হাইলাইটস:

  • একজন জাতীয় কবি আর অন্যজন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক
  • এবার কবি নজরুলের সমাধির পাশেই ওসমান হাদিকে সমাধিস্থ
  • এহেন ঘটনার পরই ক্ষোভ উগরে দিল কবি নজরুলের পরিবার

Bangladesh News Update: গোটা দেশজুড়ে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে কবরস্থ করার ঘটনা উত্তপ্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কবির পরিবারসহ নজরুল ভক্তদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এ সিদ্ধান্তে। যেখানে কবি সারাজীবন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মানবতার বার্তা ছড়িয়ে গেছেন, সেখানে তাঁর চিরনিদ্রাস্থলের পাশে তারা ভারতবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য পরিচিত এক ব্যক্তিকে সমাধি দেওয়াকে অনৈতিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। এই সিদ্ধান্তকে কবির নাতনি সোনালি কাজী এই নিয়ে ‘চরম দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন।

We’re now on WhatsApp- Click to join

কবি নজরুলের সমাধির পাশে হাদিকে কবরস্থ করা নিয়ে শুরু বিতর্ক

কবি নজরুলের জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গে কাজী পরিবার এবং বাসিন্দারা এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কবির গ্রামে দেওয়ালজুড়ে সম্প্রীতির বার্তা, গবেষণাগার এবং সংগ্রহশালা থাকলেও সম্প্রতি বাংলাদেশে তৈরি হিংসার বাতাবরণে যাতায়াত কমেছে তাদের। তারা ভাবতে পারছেন না যে কবি দুই বাংলারই সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক, তাঁর সমাধির পাশে এমন ব্যক্তিকে কীভাবে সমাধি দেওয়া যেতে পারে, যার চিন্তাধারা কবি নজরুলের আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত।

We’re now on Telegram- Click to join

১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয় জাতীয় কবিকে। প্রায় ৫০ বছর পর ওই একই স্থানে ওসমান হাদিকে কবরস্থ করা হল, যিনি প্রায়শই তার বক্তব্যে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে সরকারি মদত এবং রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সোনালি কাজী তাঁর বক্তব্যে ছায়ানট ভাঙচুর, রবীন্দ্রনাথের বই পোড়ানোর মতো ঘটনার সাথে এই ঘটনাকে যুক্ত করে তিনি বলেছেন, যারা উগ্রবাদের পথে হাঁটে, আজ তারাই কবির সমাধিস্থলকে ব্যবহার করছে তাদের স্বার্থে।

কবির পরিবারের আশঙ্কা যে, এহেন সিদ্ধান্ত একটি বিপজ্জনক প্রক্রিয়ার কেবল শুরু মাত্র। তারা ভয় প্রকাশ করছেন, ভবিষ্যতে কবির সমাধিটিকেও হয়তো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করার চেষ্টা হতে পারে। পরিবারের তরফে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেছে।

Read More- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বদল, বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদলে এবার ‘শহিদ হাদি হল’, কী জানাল কর্তৃপক্ষ?

এহেন ঘটনায় দুই বাংলারই সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি এবং নজরুল চেতনার উপর গুরুতর আঘাত পড়েছে বলেই নজরুল গবেষক এবং সুশীল সমাজ মনে করছেন।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button