Bangla News

Bangladesh News: দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, দিল্লি রয়েছে কত স্থানে?

Bangladesh News: শীতকালে ঢাকার বাতাস বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়

হাইলাইটস:

  • দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা
  • একিউআই স্কোর ২৩৯ নিয়ে শীর্ষে স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর
  • ভারতের রাজধানী দিল্লি রয়েছে চতুর্থ স্থানে

Bangladesh News: দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে কবলে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বিশেষ করে শীতকালে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়, ফলে দূষণ বাড়ে। কিন্তু বর্ষাকালে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়। তবে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল।

We’re now on WhatsApp – Click to join

বর্তমানে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ (৫ই ডিসেম্বর) বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৮৯ নিয়ে ঢাকা এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল – ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণ প্রকল্পের ধুলোবালি।

তবে এদিন বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার অবস্থান ছিল একেবারে শীর্ষে। কিন্তু বর্তমানে একিউআই স্কোর ২৩৯ নিয়ে শীর্ষে স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম শহর লাহোর। বিশেষ করে লাহোরের বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু শুধু লাহোর নয়, এই তালিকায় পাকিস্তানের আরও একটি শহর রয়েছে। একিউআই স্কোর ১৮৭ নিয়ে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে করাচি।

শুনলে অবাক হবেন, আমাদের দেশের রাজধানী দিল্লিও রয়েছে এই তালিকায়। সকলেই জানেন, দেশের মধ্যে দিল্লি অত্যন্ত দূষিত একটি শহর। যার ফলে যমুনার জলও মাঝে মধ্যেই দূষিত হয়ে যায়। একিউআই স্কোর ১৮১ নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লী চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আর ১৭২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কাতারের রাজধানী শহর দোহা।

উল্লেখ্য, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলেই মনে করা হয়। এদিকে ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)-এর তথ্য অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে হৃদরোগ জনিত সমস্যা, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লক্ষ মানুষ মারা যায়।

এইরকম বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button