Bangla News

Bangladesh Election: বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার অন্ধকার অধ্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

Bangladesh Election: চলতি নির্বাচন বয়কট করেছে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি

হাইলাইটস:

  • বাংলাদেশে নির্বাচনের ইতিহাসে রয়েছে একাধিক হিংসাজনক ঘটনা
  • নির্বাচন বাতিলও করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল
  • চলতি নির্বাচন বয়কট করেছে বিএনপি

Bangladesh Election: বাংলাদেশে নির্বাচনের ইতিহাসে একাধিক হিংসার ঘটনা রয়েছে। যার অন্যথা এবারেও হয়নি। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটছে একাধিক হিংসার ঘটনা। যার ফলে অতীতেও একাধিকবার নির্বাচন ‘বয়কট’ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। অবশ্য এর আগেও তারা নির্বাচন বয়কট করেছে। এমনকী শাসকদল আওয়ামী লীগ পর্যন্ত একবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

বাংলাদেশের কলঙ্কজনক ঘটনা: 

বাংলাদেশের আইনে বলা রয়েছে সেনা বা পুলিশের কোন আধিকারিক কর্মরত অবস্থায় কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু এই আইন লঙ্ঘন করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান। যিনি বাংলাদেশের শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির আসনেই বসেনি, পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলও (BNP) গঠন করেছিলেন।

We’re now on WhatsApp – Click to join

তারপর সেই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৭৭ সালের সেই ঘটনা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেই ইতিহাস আজও ভুলে যায়নি বাংলাদেশ। আর তার ঠিক আগেই হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারের ১৯ জনকে হত্যা করা হয়। সেই সময় অভিযোগ, ওই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ছিলেন জিয়াউর রহমান।

দুর্নীতির অভিযোগ

বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা যে দলের কাছেই গেছে তাদের বিরুদ্ধেই উঠেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সবার বিরুদ্ধেই উঠেছে এই অভিযোগ। এই অভিযোগে একসময় জেলে যেতে হয়েছে দুজনকেই। একইসঙ্গে বাংলাদেশে একাধিকবার গঠন করা হয়েছে তদারকি সরকারও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি তদারকি সরকার যে কোনও সমস্যার সঠিক সমাধান করতে পারে না। যদিও ২০০৮ থেকে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী দল। অবশ্য হাসিনার শাসনকালেও দুর্নীতি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ। কিন্তু এখনও কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি তারা।

নির্বাচন বয়কট

এবারেও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার ডাক দিয়েছে বিএনপি। এর আগে তারা ২০১৪ সালেও নির্বাচন বয়কট করেছিল। সে বারে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। চলতি নির্বাচনে বিএনপি এবং জামায়ত-ই-ইসলামী অংশগ্রহণ না নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুন লাগানোর পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দুসহ অন্যদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগও একবার ভোট বয়কট করেছিল।

এইরকম বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button