Bangla News

Bangladesh Durga Mandir Demolished: পুজোর আগে ফের হামলা দুর্গামণ্ডপে! বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের

পুলিশ সূত্রে জানায়, রবিবার সন্ধে ঠিক আটটা নাগাদ হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণেই ফাঁকা ছিল রাস্তাঘাট। সেই সুযোগেই মন্ডপে ঢুকে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।

Bangladesh Durga Mandir Demolished: প্রতিবারের মতো এবারেও দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর, মন্ডপে ঢুকে হামলা চালায় হামলাকারীরা

হাইলাইটস:

  • ফের বাংলাদেশের দুর্গামণ্ডপে ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের
  • মন্ডপে থাকা প্রতিমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে
  • ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু পুলিশের

Bangladesh Durga Mandir Demolished: বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মহম্মদ ইউনূসের অধীনে চলছে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা। কিন্তু তবুও দেশজুড়ে ধর্মীয় সহনশীলতার প্রশ্নে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজোকে ঘিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা প্রকাশ্যে এল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলায়। গত রবিবার রাতে স্বরূপদহ পালপাড়ার দুর্গামন্ডপে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পুজো কমিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মন্ডপে থাকা প্রতিমার মধ্যে ভেঙে দেওয়া হয়েছে কার্তিকের হাত এবং গলা, সরস্বতীর হাত এবং মুকুট। এর পাশাপাশি সরস্বতীর বাহন রাজহাঁস ও কার্তিকের বাহন ময়ূরকেও করা হয়েছে ভাঙচুর। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

We’re now on WhatsApp- Click to join

ফের বাংলাদেশের পুজোমন্ডপে ভাঙচুর

পুলিশ সূত্রে জানায়, রবিবার সন্ধে ঠিক আটটা নাগাদ হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণেই ফাঁকা ছিল রাস্তাঘাট। সেই সুযোগেই মন্ডপে ঢুকে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। কেবল তাই নয়, নিরাপত্তার জন্য লাগানো আইপি ক্যামেরা ও মেমোরি কার্ড খুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ফলে ঘটনাস্থলের কোনো ভিডিও ফুটেজের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খবর পাওয়ার পরই পুলিশ এবং র‌্যাফ ছুটে যায় ঘটনাস্থলে এবং শুরু করে তদন্ত।

We’re now on Telegram- Click to join

বাংলাদেশের মীরপুর থানার ওসি মমিনুর ইসলাম জানিয়েছেন, এখনও অবধি কাউকেই আটক করা যায়নি। এছাড়া পুজো কমিটির তরফে জমা পড়েনি কোনো লিখিত অভিযোগও। তবে, পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। একই সাথে তিনি স্বীকার করেন যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পরিকল্পিতভাবে ক্যামেরা সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কুষ্টিয়ার জেলা শাসক আবু হাসনাত বলেছেন, “দুই প্রতিমার ক্ষতি করেছে দুষ্কৃতীরা। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।”

এ ঘটনার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়। পুজো কমিটির সেক্রেটারি শ্রীবাস কুমার দে বলেন, “আমরা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেছি। এখন বৈঠক করব এলাকাবাসীকে নিয়ে। তবে এখনও মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়নি।” তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রতিবার এভাবে প্রতিমা ভাঙচুর হলেও যথাযথ শাস্তি না হওয়ায় বারবার সাহস পাচ্ছে অপরাধীরা।

দুর্গাপুজোর সময়ে বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা নতুন নয়। প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসে এ ধরনের খবর। সরকার এবং প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দেওয়া হলেও থামছে না এহেন ঘটনাগুলি। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময়েও এ সমস্যা বজায় থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রশ্নে।

Read More- ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ঢাকায় দুর্গামন্দির! উঠল তীব্র নিন্দার ঝড়, ফলে তড়িঘড়ি সাফাই ইউনূস সরকারের

প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়ার এই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও স্থানীয়দের আশঙ্কা যে, যদি দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে ভবিষ্যতেও চলতেই থাকবে একই ধরনের হামলা। বর্তমানে প্রশাসনের তৎপরতা এবং সরকারের কঠোর অবস্থানই নির্ধারণ করবে, কতটা নিরাপদ বোধ করবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনের সময়ে।

এইরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Back to top button