Anurag Thakur on Howrah Violence: রামনবমীর দিনে বাংলায় হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের
রাজ্যের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
হাইলাইটস:
•হাওড়া শিবপুরের ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন অনুরাগ ঠাকুর
•রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সচেতন না হলে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি
•এইদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ঘটনার দিকে নজর রাখছেন
Anurag Thakur: রামনবমীর দিনে এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরে কার্যত হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার সংঘর্ষে শিবপুর এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আশেপাশের বাড়িঘর এবং দোকানপাটে বেপরোয়া ভাঙচুর চলে। উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে পুলিশও। এবার হাওড়ার হিংসা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur on Howrah Violence)।
পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেও সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরের হিংসা নিয়ে এবার সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলোধনা করলেন অনুরাগ ঠাকুর। রাজ্যকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আভাস থাকলে যথেষ্ট পুলিশ কেন ছিল না? এর অর্থ মুখ্যমন্ত্রী জেনেশুনে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সচেতন না হলে এবার কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়। উত্তেজনার মধ্যে পড়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও আক্রান্ত আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাছাড়া রবিবার বিজেপি নেতা তথা দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী রাজু ঝায়ের হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখেও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করে অনুরাগ ঠাকুরের এই হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজ্য- রাজনৈতিক উত্তাল।
এইদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সম্পর্কে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। দিল্লি থেকে দাদাগিরি বন্ধ করুন। রামনবমীর মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র এল কী ভাবে, আগে তার জবাব দিন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, “কোমরে বন্দুর গুঁজে কেমন রামনবমী পালন হচ্ছে?” আবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল ও বিজেপিকে একই সাথে তুলোধনা করলেন। তিনি বলেন, ‘গোলি মারো শালো কো, এই জাতীয় কথা যাঁরা বলেন তাঁদের অন্য কাউকে হুঁশিয়ারি বা জ্ঞান দেওয়ার সুযোগ নেই’। তাঁর সাথে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতেও ছাড়েন নি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করে রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করার দাবী জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। রামনবমীর মিছিলে বেতাইতলায় দুই আক্রান্তের বাড়িতে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এবং তার সাথে যেখানে অশান্তি হয়েছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শনে যেতেন তিনি। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকার দরুণ মাঝপথেই তাঁকে বাঁধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে, এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি।
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।