বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুন করে দেহ দু-টুকরো করে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে
দিল্লির শ্রদ্ধা খুনের ছায়া যেন উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে
শিলিগুড়ি: বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুন করে তারপর তার দেহ দু-টুকরো করে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই স্বামীর বিরুদ্ধে। বছর ছয়েক আগে শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা এম ডি আনসারুলের সাথে বিয়ে হয়েছিল রেণুকা খাতুনের। শিলিগুড়ি শহরের কলেজ পাড়ায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ শিখতেন রেণুকা। গত ২৪শে ডিসেম্বর স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ফাঁসিদেওয়ায় তিস্তা ক্যানেলের ধারে নিয়ে যায় আনসারুল। সেখানে স্ত্রীকে চাকু দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয় সে। এরপর দেহ এবং মাথা দুটি আলাদা বস্তায় ভরে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ফাঁসিদেওয়ার গোয়ালটুলি মোড় সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে রেণুকার পরিবার গত ২৪শে ডিসেম্বরই শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। বুধবার রাতে রেণুকার স্বামী এম ডি আনসারুলকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথাবার্তায় যথেষ্ট অসংগতি থাকায় পুলিশ আরও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চালানোর পর মৃতার স্বামী স্বীকার করে নিজের অপরাধের কথা। সে সব কথা নিজের মুখেই বলে, তার সন্দেহ হয় তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছে। তাই সে গত ২৪শে ডিসেম্বর পরিকল্পনা মাফিক স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ফাঁসিদেওয়ায় তিস্তা ক্যানেলের ধারে নিয়ে যায় এবং প্রথমে খুন করে তারপর দেহ দু- টুকরো করে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়। তার কথা মতো অভিযান শুরু করে পুলিশ। দেহের সন্ধানে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও। অভিযুক্ত আনসারুলকে শিলিগুড়ি আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়।
রেণুকার এক আত্মীয় মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বুধবার রাতে পুলিশ ফোন করে জানায়, রেণুকা হত্যার তদন্ত সমাপ্ত। কারণ ওর স্বামীই ওকে খুন করেছে। ওদের একটা ছোট ছেলেও রয়েছে। দোষীর ফাঁসি চাই।’