Mustard Oil vs Refined Oil: কোন তেল খেলে ভালো থাকবে স্বাস্থ্য? সরষের তেল নাকি রিফাইল তেল? বিস্তারিত জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে

Mustard Oil vs Refined Oil: সরষের তেল ও রিফাইন তেলের মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে? উপকারিতাই বা কতটা? আসুন জেনে নেওয়া যাক

হাইলাইটস:

  • সরষের তেল ও রিফাইন তেলের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে
  • সরষের তেলে রয়েছে বিভিন্ন গুনাগুনের ভান্ডার​
  • রিফাইন তেলও খারাপ নয়

Mustard Oil vs Refined Oil: সরষের তেল ও রিফাইন তেলের মধ্যে কোনটি শ্রেষ্ঠ, তা নিয়ে দীর্ঘদিন বিভ্রান্তি রয়েছে মানুষের মধ্যে। একদল বলছেন, সরষের তেল উপকারী আবার অন্যদলের মুখে, রিফাইন তেলের কোনো তুলনা নেই। তাই তেল নিয়ে মানুষের মনে অনেক ভ্রান্ত ধারণা বাসা বেঁধে রয়েছে। অনেকেরই ধারণা, তেল খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে শরীরের একাধিক জরুরি কাজে তেলের প্রয়োজন। আসুন আজ এই নিয়ে ঠিক ভুল ধারণা গুলি আলোচনা করা যাক।

​১. সরষের তেল গুনাগুনের ভান্ডার​:

পরিমিত পরিমাণে সরষের তেল খেলে শরীরের উপকার হয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সরষের তেলের এন৩ এবং এন৬ রেশিও খুব ভালো। তাই তো এই তেল খেলে ‘কার্ডিও প্রোটেক্টিভ এফেক্ট’ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সরষের তেল খেলে হার্ট সুস্থ থাকবে।

২. রিফাইন তেলও খারাপ নয়:

এই তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুফা ও মুফা। হার্টের খেয়াল রাখার কাজে এই দুই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি রিফাইন তেলে আলাদা করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও মেশানো থাকে যা কিনা হার্ট ও ব্রেনের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৩. সরষের তেল না রিফাইন তেলের মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী?

পুষ্টিবিদদের মতে এই দুই ধরনের তেলই স্বাস্থ্যগুণে অত্যন্ত উপকারী। তাঁরা এই দুটি তেলই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্নায় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।

৪. ভালো-খারাপের তফাৎ ​-

সানফ্লাওয়ার তেল, সোয়াবিন তেল, সরষের তেল, রাইসব্র্যান তেল- এগুলি সাধ্যের মধ্যে অত্যন্ত উপকারী তেল। আবার আমন্ড অয়েলও খেতে পারেন।

অপরদিকে পাম তেল শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া বনস্পতি, মাখন, ঘি, চিজ যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো। কারণ এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

​৫. দিনে কতটা পরিমান তেল খাওয়া উচিত?​

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন একজন সুস্থ ব্যক্তি দিনে ২০ থেকে ৩০ এমএল তেল খেতেই পারেন। তবে ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল বা হার্টের অসুখ থাকলে তেল খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.