RG Kar Case: আরজি কর মামলায় আদালতের রায়ের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসির দাবি করলেন
সিবিআই সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডের জন্য জিজ্ঞাসা করলেও শেষমেশ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত।
RG Kar Case: আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত
হাইলাইটস:
- সোমবার সঞ্জয় রায়ের মৃত্যদণ্ডের দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩(১) ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে
- জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত
RG Kar Case: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সঞ্জয় রায়ের মৃত্যদণ্ডের দাবি করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালিত আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১বছর বয়সী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
We are now on WhatsApp –Click to join
হাসপাতালের একটি সেমিনার কক্ষ থেকে ডাক্তারের লাশ উদ্ধারের পরদিন সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। আদালত তাকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ধারা ৬৪,৬৬ এবং ১০৩(১) এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই ধারা গুলোয় যাবজ্জীবন কারাদণ থেকে মৃত্যৃদণ্ড পর্যন্ত সাজা বহন করে।
We’re now on Telegram –Click to join
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এর নেতৃত্বে প্রসিকিউশন, ডিএনএ, টক্সিকোলজি রিপাের্ট, সিসিটিভি ফুটেজ সহ ফরেনসিক প্রমাণের উপর নির্ভর করেছিল, এই প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয়ের রায় কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
Read more:- যদি না মেয়েদের বাঁচাতে পারি, এই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী- এর কোনো মানে নেই’ আর জি কর কাণ্ডে বিষ্ফোরক দাবি দেবের
সিবিআই সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ডের জন্য জিজ্ঞাসা করলেও শেষমেশ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত। এ ছাড়াও ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ এবং হত্যার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিচারক বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।’’
সমস্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়ার সত্বেও, সিবিআই তদন্তের মধ্যে ভিকটিম শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছে এই তথ্যে ১২০ জনেরও বেশি সাক্ষী পাওয়া যায়।
সিবিআই কর্তৃক ” বিরলতম ঘটনা” হিসাবে বর্ণনা করা মামলাটি ব্যাপক মনোযোগ আক্ষণ করেছে, ভুক্তভােগীর বাবা-মা ন্যায়বিচারের জন্য তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
৯ আগস্টের ঘটনাটি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন স্নাতকাত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে জড়িত। এটি কলকাতা পুলিশের একজন নাগরিক স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তারের দিকে পরিচালিত করে এবং ডাক্তার ও নাগরিকদের ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দেয়।
এরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।