Healthy Heart Tips: এই ব্যক্তিদের হার্টের স্বাস্থ্যের কখনো অবনতি হয় না, হার্ট অ্যাটাকের কোনো ঝুঁকি থাকে না
হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট ফেইলিওরের মতো মারাত্মক সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর কারণ হল খারাপ জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, কোভিড বা পরিবেশের মতো কারণ।
Healthy Heart Tips: খারাপ জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের তরুণদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে, হৃদরোগের ফাঁদ এড়াতে হলে কী করবেন? জেনে নিন
হাইলাইটস:
- বর্তমানে তরুণদের হার্ট কম বয়সেই দুর্বল হয়ে পড়ছে
- হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট ফেইলিওরের মতো মারাত্মক সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে উঠেছে
- তবে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের হার্টের স্বাস্থ্য কখনই খারাপ হবে না
Healthy Heart Tips: বর্তমানে তরুণদের হার্ট কম বয়সেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এ কারণেই সারা বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। হৃৎপিণ্ড আমাদের শরীরের কেন্দ্র, যতক্ষণ তা স্পন্দিত হয়, ততক্ষণ আমরা বেঁচে থাকি। সাধারণত, হৃদরোগ ক্রমবর্ধমান বয়সের সাথে দেখা দেয়, তবে গত কয়েক বছরে, তরুণদের মধ্যে, বিশেষ করে ৩০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে।
We’re now on WhatsApp – Click to join
হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট ফেইলিওরের মতো মারাত্মক সমস্যা এখন সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর কারণ হল খারাপ জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, কোভিড বা পরিবেশের মতো কারণ। তবে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের হার্টের স্বাস্থ্য কখনই খারাপ হবে না। এ ধরনের ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের কোনো ঝুঁকি নেই। আসুন তাদের সম্পর্কে জানা যাক..
কোন ব্যক্তিদের হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় না?
১. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা
আজকাল বেশিরভাগ রোগই হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে। বেশি রাত অবধি জেগে থাকা, সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, ব্যায়াম না করা, ফাস্টফুড ও ভাজা-ভুজি খাবার খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, স্থূলতার মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে যা পরবর্তীতে হার্ট অ্যাটাকের ফাঁদ চওড়া করে। যাদের জীবনধারা স্বাস্থ্যকর, তাদের হার্ট সবসময় সুস্থ থাকে। এসব রোগ তাদের ধারে কাছে ঘেঁসবে না।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ
যারা সুষম খাদ্য গ্রহণ করেন, তাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। একটি সুষম খাদ্য হৃৎপিণ্ডে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। যারা ফল, শাকসবজি, ড্রাই ফ্রুটস এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের হার্ট সুস্থ থাকে।
We’re now on Telegram – Click to join
৩. নিয়মিত ব্যায়াম
ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট হার্টের পেশী শক্তিশালী করে এবং দেহে রক্তের সঞ্চালন উন্নত করে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের কখনই হৃদরোগ হয় না এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও এড়ানো যায়। প্রত্যেকেরই হৃদয়কে শান্তি ও আরাম দেওয়ার জন্য ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৪. স্ট্রেস কম থাকে
আজকাল কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় হার্টের ওপর চাপ বাড়ছে। এ কারণে হৃৎপিণ্ড দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। যারা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখেন তাদের কখনোই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। এ ধরনের মানুষের হৃদয় সুস্থ থাকে।
৫. ভালো ঘুম
ভালো ঘুম হার্টকে বিশ্রাম দেয় এবং রক্তের সঞ্চালন উন্নত করে। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো যায়। এতে বডি ক্লক বিঘ্নিত হয় না এবং হার্ট সুস্থ থাকে।
Read more:- হার্টে ব্লকেজ? এই হার্ট ব্লকেজ কীভাবে দূর করবেন? জেনে নিন
৬. ধূমপান নৈব নৈব চ
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ধূমপান একটি কারণ যা যুবকদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ফুসফুস ও রক্তনালীকে দুর্বল করে দেয়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান হার্টের ধমনী সরু করে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যারা অ্যালকোহল এবং ধূমপান করেন না তাদের হার্টও সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি নগণ্য।
স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সংক্রান্ত আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।