health

Piercing Care: কানে বা নাকে ছিদ্র করা হলে কীভাবে ত্বকের সংক্রমণ দূর করবেন? জেনে নিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়

Piercing Care: ত্বকে ভাবছেন ছিদ্র করাবেন, তার আগে এই টিপসগুলি মেনে চলুন

হাইলাইটস:

  • ফোঁড়ানো হলে অনেকেই পোহান বিভিন্ন ঝক্কি
  • তবে এরই মধ্যে সামনে এল বিরাট সমস্যা
  • দেখুন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কি বলেছেন

Piercing Care: কানে, নাকে বা শরীরের যে কোনো অংশে গয়না পরতে ছিদ্র করলে বা ফোঁড়ানো হলেও অনেককেই পোহাতে হয় নানান ঝক্কি। এরই মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সংক্রমণ। সম্প্রতি, নিউ ইয়র্ক-য়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ডেব্রা জ্যালিম্যান, তিনি দেহের যে কোনো জায়গায় ফোঁড়ানো (ছিদ্র) হলে যে সংক্রমণ দেখা দেয় তার চিকিৎসা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন।

We’re now on WhatsApp- Click to join

সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া

এক প্রতিবেদন অনুসারে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, “সংক্রমণের লক্ষণগুলি হল লালচেভাব, ফোলাভাব, নরমভাব, পুঁজ বা শক্তভাব। আর যদি সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তবে এই সব সমস্যার পাশাপাশি জ্বরও আসতে পারে।”

We’re now on Telegram- Click to join

ধাতুর গহনা

ফোঁড়ানোর (ছিদ্র) পরে সংক্রমণ নিয়ে ঝুঁকি থাকলে তবে কী ধরনের ধাতুর গহনা পরছেন সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। একেক জনের ত্বক অনুযায়ী একেক ধাতুর প্রতি ভিন্ন প্রতিক্রিয়া থাকে। এই বিষয়ে ডাঃ বলেছেন, “প্লাটিনাম এবং ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ ত্বকের পক্ষে নিরাপদ, এগুলি সার্জিকেল স্টিলের মতো হয়।” সাধারণত, নিকেলের তৈরি গহনা সংবেদনশীল হয় ফলে ত্বকে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই সচেতন থাকা বিশেষ জরুরি। এছাড়া, ধাতবের প্রতি সংবেদনশীল না থাকার পরে যদি সংক্রমণ দেখা দেয় তবে তার অন্যতম কারণ ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।

তাড়াহুড়া করে গহনা খুলবেন না 

সংক্রমিত ছিদ্র থেকে যদি তাড়াহুড়া করে গহনা খুলে নেওয়া হয় তবে এক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, “যদি ছিদ্রে সংক্রমণ দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। সংক্রমণের কারণ যদি ধাতব হয় তবে সেই গহনা খুলে ফেলতে হবে অন্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ধাতবে অ্যালার্জি না থাকার পরেও যদি খুলে ফেলেন সেক্ষেত্রে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ছিদ্রটি বন্ধ করে দিতে পারে।” সংক্রমণ যদি অল্প হয় এবং বাড়িতে চিকিৎসা করাতে চান তবে শুধু কান বা নাক ফোঁড়ানোর ছিদ্রে গহনা পরে থাকুন।

হাত পরিষ্কার রাখা উচিত 

ছিদ্রে ব্যথা এবং অস্বস্তি থাকায় যখন তখন হয়তো হাত চলে যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সর্বদা হাত পরিষ্কার রাখা উচিত। আক্রান্ত স্থানের চারিদিক অল্প সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এবং আক্রান্ত স্থানের চারিদিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আক্রান্তস্থানে তুলার কাঠির সাহায্যে পরিষ্কার করে ভালো করে মুছে শুকাতে হবে। আক্রান্তস্থানে আপনি অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম অথবা মলম ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যথা ও ঝুঁকি কমে যায়।

Read More- এসব রোগে আনারস খাওয়া উচিত নয়, অন্যথায় বাড়বে সমস্যা

এই সংক্রমণটি বাড়ালে তা গুরুতর পর্যায়ে যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব সচেতন থাকুন।

এইরকম আরও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button