Baba Siddique Shot Dead: হাজি মাস্তান থেকে দাউদ ইব্রাহিম এবং বর্তমানে লরেন্স বিষ্ণোই, আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়াবহতা কী আবারও ফিরে এসেছে বলিউডে?
Baba Siddique Shot Dead: ফের একবার মুম্বাইয়ে সক্রিয় হয়ে উঠছে আন্ডারওয়ার্ল্ড
হাইলাইটস:
- গত শনিবার গুলি করে হত্যা করা হয় বাবা সিদ্দিকীকে
- হত্যার দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং
- আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়াবহতা কী আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বলিউডে?
Baba Siddique Shot Dead: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ বহু পুরোনো। বর্তমানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। গত শনিবার মুম্বাইয়ের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অজিত পওয়ার-পন্থী এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীকে। ইতিমধ্যে হত্যায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের খোঁজে অবিরাম অভিযান চালাচ্ছে মুম্বাই পুলিশ। গ্রেফতার করা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হত্যার দাবির সত্যতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সামনেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। আর এরই মাঝে মুম্বই শহরে পুনরায় মাথাছাড়া দিচ্ছে দুষ্কৃতী দল। এইরকম হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক নেতার হত্যার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাই পুলিশ। তবে মুম্বাইয়ে কি আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রভাব আবারও সক্রিয় হচ্ছে? আবারও উঠছে প্রশ্ন।
We’re now on WhatsApp – Click to join
আন্ডারওয়ার্ল্ড-এর সঙ্গে বলিউডের যোগ
নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ের ভাবমূর্তি ছিল স্বপ্নের শহর, কিন্তু মুম্বাইয়ের এই ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। তখন সন্ত্রাসের এমন রাজত্ব ছিল যে, রাজ্যের বাইরে বসবাসকারীরাও মুম্বাই যেতে ভয় পেতেন এবং সন্ত্রাসের এই অধ্যায় শুরু হয়েছিল ৭০-এর দশকেই। সেই সময়ে, এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার নামটি আজও বলিউডে কাঁটা হয়ে রয়ে গেছে। তিনি কোনওদিনও কাওকে গুলি না করেই হয়ে উঠেছেন মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বড় ডন। ওই ব্যক্তির নাম সুলতান মির্জা ওরফে হাজি মাস্তান।
We’re now on Telegram – Click to join
হাজি মাস্তানের পর আন্ডারওয়ার্ল্ড-এর সবচেয়ে বড় নাম দাউদ ইব্রাহিম
১৯৭৫ সালে সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। হাজি মাস্তানের মতো অনেক ডনকে তখন জেলে ঢোকানো হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাজনীতিতে প্রবেশ করেন হাজি মাস্তান। দলিত-মুসলিম সুরক্ষা মহাসংঘ নামে একটি দল গঠন করেন তিনি। এরপর ১৯৯০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে ‘ভারতীয় সংখ্যালঘু ফেডারেশন’ করা হয়। এরপর থেকে হাজি মাস্তান বলিউডে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে, এমনকি তার সুরে নাচতেন চলচ্চিত্র তারকারাও। ১৯৯৪ সালে হাজি মাস্তান মারা যাওয়ার পর তার শিষ্য দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাই আন্ডারওয়ার্ল্ড শাসন করতে শুরু করেন।
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সময় সারা দেশ দেখেছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস। সেই সময় একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠেছিল মুম্বাইয়ের একাধিক জায়গা। তবে আজ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েননি তিনি। একসময় বলিউড তারকাদের সাথেও তার গভীর যোগ ছিল। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে থাকেন এবং সেখান থেকে তার গ্যাং চালান।
গুলশান কুমার খুনের পর পর সক্রিয় হয়ে উঠে মুম্বাই পুলিশ
১৯৯৭ সালে টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমারের হত্যার পর আন্ডারওয়ার্ল্ড বিনাশের শপথ নেয় মুম্বাই পুলিশ। অপরাধীদের নির্মূল করার জন্য স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা IB, RAW, CBI-এর সমন্বয় বাড়তে শুরু করে। এনকাউন্টার শুরু হয়েছিল, যা আন্ডারওয়ার্ল্ডকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল, কিন্তু বাবা সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ড আবারও আন্ডারওয়ার্ল্ড সক্রিয় হওয়ার আভাস মিলেছে।
Read more:- কে হবেন রতন টাটার যোগ্য উত্তরসূরি? কার নাম আসছে প্রথম সারিতে?
মুম্বাইয়ে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে লরেন্স আতঙ্ক
যদিও লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের কিছু জেলায় সক্রিয়, কিন্তু গত কয়েক বছরে মুম্বাইয়ের অনেক ঘটনায় এর নাম উঠে এসেছে। লরেন্স বিষ্ণোই বহুদিন থেকেই সলমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। কিছুদিন আগেই ভাইজানের বাড়িতেও গুলি চালায় তার গ্যাং-এর সদস্যড়া। সূত্রের খবর, বাবা সিদ্দিকীর হত্যার পিছনেও রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই। ঘটনার পর বিষ্ণোই গ্যাং হামলার দায়ও নেয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।