নিৰ্বাচন

Terrible Explosion at Bhangar: নির্বাচনের পরেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ভাঙড়ে! ঘটনায় গুরুতর আহত বেশ কয়েকজন

Terrible Explosion at Bhangar: পঞ্চায়েত ভোটের পরেই ভাঙড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ বলে জানা যাচ্ছে

হাইলাইটস:

• নির্বাচন শেষেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলো ভাঙড়

• ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ৩ জন একেবারে ঝলসে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে

• আহতদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে

Terrible Explosion at Bhangar: নির্বাচনের পরেই ভাঙড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ ঝলসে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশ বীভৎসভাবে পুড়ে গিয়েছে। নির্বাচনপর্ব চলাকালীন একই দিনে রাজ্যের দুই আলাদা রাজনৈতিক দলের তিনজন খুন হন। ভোট গণনার দিন মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছিল কাঠালিয়া হাইস্কুলের বাইরে। সেই রাতে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছিল পুলিশ। এবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হল সেখানে। ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়ার চকমরিচায় এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহতের সংখ্যা ৩।

অভিযোগ উঠেছে, একটি গাড়ি করে আহতরা কলকাতার পথে রওনা দিয়ে দেন। বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলা এলাকায় কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ আধিকারিকরা গাড়িটি আটকায়। তারপরই গাড়ির ভিতরের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে চক্ষু চরকগাছ হয়েছে সকলের। আহতদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভাঙড়ে এখনও পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অথচ তারপরও সেখানে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটলো। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আহতরা সকলেই আইএসএফ কর্মী। তাঁরা বোমা বাঁধছিল বলেও অভিযোগ উঠছে। চকমরিচা এলাকার কোনও মানুষ এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। সেখানকার অধিকাংশ বাড়িতেই ঝুলছে তালা।

এই ভয়াবহ ঘটনা প্রসঙ্গে আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, “আমার কাছে এখনও এরকম কোনও খবর নেই। তারপরও বলছি আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আমাদের লক্ষ্য বোমাবারুদ বিহীন রাজনীতি। কী ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আরও একটা কথা বলা হচ্ছে, বোমা বাঁঁধতে গিয়ে ঝলসে গেছে। বোমা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গেছে, নাকি বোম মারা হয়েছে তাতে ঝলসে গেছে তাও দেখা প্রয়োজন।”

অপরদিকে তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লার জানিয়েছেন, “৩ জন আইএসএফ কর্মী চকমরিচা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে আহত হয়েছে। কাঁটাতলায় গ্রামের লোকজন তাঁদের ধরে ফেলে। এরপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন পুলিশের কাছে, এখনও কীভাবে আইএসএফের কর্মীরা বোমা বাঁধছে? আর আমি নওশাদ সিদ্দিকিকে বলব, কোথা থেকে তিনি এত বোমা, বন্দুকের সাপ্লাই দিচ্ছেন উত্তর দিন। আমরা এই উত্তর চাই।”

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button