Lansdowne Horror Story: স্ত্রী-২ ছবির স্কন্ধকাটা ভূত নাকি বাস্তবেও রয়েছে! আজও ল্যান্সডাউনের রাস্তায় দেখা যায় এই ভূতকে!
Lansdowne Horror Story: আজও ল্যান্সডাউনের রাস্তায় রাতে এক মুণ্ডবিহীন ইংরেজ সৈন্য ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ান
হাইলাইটস:
- স্কন্ধকাটা ভূত নাকি বাস্তবেও রয়েছে!
- ল্যান্ডসডাউনের রাস্তায় এখনও নাকি তাকে দেখা যায়
- লোকমুখে সেই বর্ণনা শুনলে গা ছমছম করবে
Lansdowne Horror Story: ১৫ই অগাস্ট পেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অমর কৌশিকের হরর কমেডি ছবি ‘স্ত্রী-2’। রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্কজ ত্রিপাঠী অভিনীত কম বাজেটের ছবি ‘স্ত্রী-2’ রীতিমতো বক্স অফিস কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই ছবির পার্ট ওয়ানে ভিলেনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ‘স্ত্রী’ নামের এক পেত্নিকে। আর দ্বিতীয় পার্টে ভিলেন হিসেবে দেখা গেল এক স্কন্ধকাটা ভূতকে। প্রথম পার্টে গ্রামের পুরুষদের ‘স্ত্রী’ তুলে নিয়ে যেত। আর স্কন্ধকাটা তুলে নিয়ে যায় গ্রামের মহিলাদের। ভিলেন হিসেবে স্কন্ধকাটার চরিত্রটি দর্শকের বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। ছবির প্রথমে গোটা ঘটনাটিকে কাল্পনিক বলে দাবি করা হলেও, এই স্কন্ধকাটা ভূত নাকি বাস্তবেও রয়েছে। অন্তত ল্যান্সডাউনের বাসিন্দাদের তেমনটাই দাবি।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ল্যান্সডাউনের স্কন্ধকাটা ভূত
উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালের ল্যান্সডাউন, ছবির মতো সুন্দর এই শৈল শহরটি ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল। স্থানীয় ভাষায় শহরটির নাম, ‘কালা কা ডান্ডা’। ল্যান্সডাউনকে ব্রিটিশ সরকার গাড়োয়াল রাইফেলস্-এর প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে এই গড়ে তুলেছিল। এই শৈল শহরের ঘরে ঘরে রয়েছে একটি রোমহর্ষক কাহিনি। সেখানে বেড়াতে গেলেও দেখবেন রাত আটটার মধ্যে এলাকা পুরো শুনশান হয়ে যায়। কথিত রয়েছে, রাত হলেই নাকি এক মুণ্ডবিহীন ইংরেজ সৈন্য ঘোড়ায় চড়ে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। এলাকায় প্রহরারত সেনাদের উপর নাকি তিনি ‘নজর’ রাখেন। রাতের ডিউটিতে কেউ ঘুমিয়ে পড়লেই নাকি তাঁর গালে পড়ে এক অদৃশ্য হাতের সপাটে চড়। এমনকী রাতে অদ্ভুত সব শব্দও শোনা যায় বলে দাবি করেন প্রহরারত সৈন্যরা।
We’re now on Telegram – Click to join
কে এই স্কন্ধকাটা?
কথিত রয়েছে, এই স্কন্ধকাটা ভূতটি নাকি ছিলেন ডব্লিউ. এইচ. ওয়ার্ডেল নামের একজন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা। ১৮৯৩ সালে তিনি ভারতে এসেছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় মারা গিয়েছিলেন ওয়ার্ডেল। তবে কোথাও তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। অনেকে মনে করেন ল্যান্সডাউন শহরকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। সঠিকভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন না হওয়ায় ওয়ার্ডেলের বিদেহী আত্মা আজও ল্যান্সডাউনে ঘুরে বেড়ায়।
Read more:- করিশ্মার গণেশ চতুর্থী উদযাপনে হাজির গোটা কাপুর পরিবার, ফের নজর কাড়ল ছোট্ট রাহা
ল্যান্সডাউন ঘুরে দেখুন
তবে শুধু ভূতই নয়, ল্যান্সডাউনে বেড়ানোর জায়গারও অভাব নেই। উত্তরাখণ্ডের এই পাহাড়ি শীতল শহরে গরমের সময় প্রচুর পর্যটকের ভিড় দেখা যায়। দিল্লি থেকে মাত্র ২৭৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই ছোট্ট শৈল শহর। দিল্লি থেকে ট্রেন বা গাড়ি করে ল্যান্সডাউন পৌঁছোতে পারেন। সেখানে ঘুরে নিতে পারেন গৌরীকুণ্ড, তারকেশ্বর মহাদেব মন্দির, ভুল্লা তাল হ্রদ, প্রাচীন মন্দির তথা সতীপীঠ দুর্গা মন্দির। ল্যান্সডাউন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কণ্বমুনির আশ্রম। কথিত আছে, এই আশ্রমের অরণ্যেই শকুন্তলাকে রেখে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন তার মা অপ্সরা মেনকা। এই আশ্রমেই শকুন্তলা বড় হয়ে উঠেন এবং পরে রাজা দুষ্মন্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। আবার ঋষি দুর্বাসার অভিশাপে এখন রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে পারননি তখন এই কণ্বমুনির আশ্রমেই শকুন্তলা ফিরে এসেছিলেন। এখানেই তিনি জন্ম দেন পুত্র ভরতকে। শকুন্তলা-দুষ্মন্তের পুত্র রাজা ভরতের নাম অনুসারেই নাকি আমাদের দেশের নাম হয়েছে ভারতবর্ষ।
এইরকম আরও প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।