একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার জন্য খেজুরের ৫টি উপকারিতা
শীতকালই হল আপনার খাদ্যতালিকায় খেজুর যোগ করার উপযুক্ত সময়।
খেজুর কোলেস্টেরল মুক্ত এবং এতে খুব কম পরিমানে চর্বি থাকে। খেজুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। রমজান এবং ঈদের সময় খেজুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তবে আপনি দিনের যে কোনও সময় এর স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। কিছু বই অনুসারে, খেজুর চাষ হল প্রাচীনতম সভ্যতার একটি অংশ এবং এর উৎপত্তি পারস্য উপসাগরের চারপাশে মরুভূমিতে। খেজুরে পটাশিয়াম বেশি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ধীর-নিঃসৃত শর্করা সরবরাহ করে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার মানকে উন্নত করবে।
কীভাবে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় খেজুর যোগ করবেন তার কিছু আকর্ষণীয় উপায় এখানে আমরা তালিকাভুক্ত করেছি, আসুন সময় নষ্ট না করে এক ঝলকে সেগুলি দেখে ফেলা যাক :
১. খেজুর দিয়ে তৈরী পানীয়(শেক): খেজুরের যে প্রাকৃতিক মিষ্টিভাবটি রয়েছে সেটি একটি চমৎকার শেক তৈরি করতে সাহায্য করে। আপনাকে যা করতে হবে তা হল দই বা দুধের সাথে ব্লেন্ডার দিয়ে ব্লেন্ড করে একটি সুস্বাদু শেক তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত চিনি যোগ করবেন না কারণ খেজুরে প্রয়োজনীয় মিষ্টিভাব আগে দিয়েই রয়েছে।
২. এগুলিকে বেকারীর কাজে লাগান: শুধুমাত্র সাজানোর জন্য নয়, আপনি কেক, পাউরুটির টুকরো, কুকিজ এবং কাপকেকগুলিতেও টুকরো টুকরো খেজুর যোগ করতে পারেন।
৩. খেজুরকে স্যালাডে যোগ করুন: আপনার খাদ্যতালিকার পুষ্টিগত মান বাড়ানোর সেরা এবং সহজ উপায়গুলির মধ্যে একটি হল খেজুর। খেজুর গুলিকে টুকরো টুকরো করে কেটে আপনার স্যালাডের সাথে যোগ করুন। আবার স্যান্ডউইচে বা পাস্তাকে সাজানোর জন্যও এইগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. এগুলিকে যুক্ত করুন ট্রেইল মিক্সে: কাটা খেজুরের সাথে কিছু টেবিল চামচ শুকনো ফল(ড্রাই ফুডস) নিন, সেগুলি মিশ্রিত করুন এবং উপভোগ করুন। এটি খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। আপনার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য এই কৌশলটি ব্যবহার করুন।
৫. খাদ্যশস্যে এগুলি ব্যবহার করুন: একটি বই-এ লেখা আছে যে, গ্রানোলায় কাটা খেজুর যোগ করা এটি একটি স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশের বিকল্প করে তোলে। তাই প্রাতঃরাশের জন্য আপনার পছন্দের খাদ্যশস্য বাছুন এবং কাটা খেজুর তার উপর ছিটিয়ে দিন। খাবারটি হবে স্বাদে ভরপুর।