Healthy Benefits of Pumpkin Flower: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের ভান্ডার এই ফুল! সুস্থ থাকতে চাইলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন
Healthy Benefits of Pumpkin Flower: কুমড়ো ফলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন শরীরের একাধিক উপকার করে
হাইলাইটস:
• কুমড়ো ফলে থাকে বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও উপকারী উপাদান
• কুমড়ো ফুল শরীরের প্রদাহ কমায় এবং শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে
• অনেক তেল দিয়ে কুমড়ো ফুল ভেজে খেলে সেই ভাবে উপকার পাওয়া যাবে না
Healthy Benefits of Pumpkin Flower: বাঙালি বাড়িতে একটি নিয়মিত সবজি হল কুমড়ো। একাধিক বাঙালি পদে এই সবজির নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন ঘরের মা দিদারা। তবে কুমড়োর পাশাপাশি এই সবজির ফুলও কিন্তু সমানভাবে উপকারী। তাই পুষ্টিবিদরা নিয়মিত কুমড়ো ফুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিয়মিত কুমড়োর ফুল খেলে দেহের প্রদাহ কমার পাশাপাশি একাধিক উপকার পাওয়া সম্ভব। এই ফুল শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
কুমড়ো ফুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি, কার্বন, প্রোটিন, কপার, ফাইবার, ভিটামিন এ, ফোলেট, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন সহ একাধিক জরুরি উপাদান উপস্থিত। আর এই সকল উপাদানগুলিই একত্রিতভাবে কুমড়ো ফুলকে এক অত্যন্ত উপকারী খাদ্যে পরিণত করে। যার জুড়ি মেলা ভার। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে ঠিক কী কী উপাকার পাওয়া যাবে নিয়মিত কুমড়ো ফল খেলে? তাহলে চলুন আর দেড়ি না করে সেই দিকে নজর দেওয়া যাক
১. চোখের দীর্ঘায়ু পাবেন:
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ উপস্থিত কুমড়ো ফুলে। আর এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুমড়ো ফুলে উপস্থিত এই ভিটামিন এ চোখে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়া থেকে আটকায়। ফলে বয়সকালে চোখের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে। এমনকী এই ফুলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই চোখের দীর্ঘায়ু চাইলে নিয়মিত এই ফুল খেতেই হবে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার কুমড়ো ফুল:
কুমড়ো ফুলে রয়েছে বেশ কিছু উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন- অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভানয়েডস, ফেনলস। এই সকল উপাদানগুলি শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকী শরীরের প্রদাহ হ্রাস করার ক্ষেত্রেও এই ফুলের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও গবেষণায় প্রমাণিত, নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে সেল ড্যামেজ আটকে দেওয়া সম্ভব। এমনকী দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিনও বেড়িয়ে যায়। তাই সুযোগ পেলেই কুমড়ো ফুলের বড়া না বানিয়ে চেষ্টা করুন সিদ্ধ করে খাওয়ার। তাতেই আপনার শরীরের উপকার হবে।
৩. পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি:
পেটের সমস্যা বাঙালীদের একটি খুব সাধারণ সমস্যা। অনেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো জটিলতা। কিন্তু আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না, আপনার হাতের নাগালে থাকা কুমড়ো ফুল খেলেই কিন্তু একাধিক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আসলে এই ফুলে উপস্থিত ফাইবার অন্ত্রের হাল ফেরায়। অথএব, নিয়মিত কুমড়ো ফুল যদি খেতে পারেন তাহলে একাধিক পেটের অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৪. রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে:
রক্ত তৈরির কাজেও কুমড়ো ফুলের জুড়ি মেলা ভার। কুমড়ো ফুলে উপস্থিত আয়রন ও কপার রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ রক্তাল্পতার মতো সমস্যা থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে কুমড়ো ফুল। তাই অ্যানিমিয়ার সমস্যায় থেকে বাঁচতে নিয়মিত কুমড়ো ফুল খেলে উপকার পাবেন।
৫. ভেজে খেলে উপকার মিলবে না:
কিন্তু মাথায় রাখা প্রয়োজন, কুমড়ো ফুল চপচপে তেলে ভেজে খেলে তেমন একটা লাভ পাবেন না। বরং সিদ্ধ করে বা তরকারি করেই এই ফুল খেলে উপকার পাবেন। তাই শরীরের সুস্থতা কামনায় এবং ছোট-বড় অসুখ থেকে মুক্ত থাকতে কুমড়ো ফুলের তরকারি খেতে ভুলবেন না।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।
One Comment