Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু মমতা’ স্লোগান তুলে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
Suvendu Adhikari: এই মিছিলে শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতারা
হাইলাইটস:
• রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর থেকে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
• এবার তিনি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলেন বিডিও অফিসে
• এই মিছিলের স্লোগান ছিল ‘নো ভোট টু মমতা’
Suvendu Adhikari: আর হাতে মাত্র কয়েকটা দিন পরে আছে, তারপরই সারা রাজ্যজুড়ে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী ৮ই জুলাই একদফায় হবে পঞ্চায়েত ভোট। শাসক এবং বিরোধী উভয় পক্ষই লেগে পড়েছে ভোটের প্রচারে। একদিকে যেমন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা সারা বাংলা জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, ঠিক অন্যদিকে বিজেপিও কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভোটের প্রচারে।
গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলেন। সেই মিছিলে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে স্লোগান উঠেছিল ‘নো ভোট টু মমতা’। অবশ্য নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করে ফেলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘গণতান্ত্রিকভাবে আছার দেওয়া হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টিতে বিজেপি বোর্ড গড়বে আর বাকি পাঁচটিতে ত্রিশঙ্কু করব। পরে বোর্ড করব। দুটো পঞ্চায়েত সমিতি জিতব, জেলা পরিষদও জিতব।’’ ফলে এদিনও নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণীতে অনড় ছিলেন তিনি।
সুতরাং বলা যায়, শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত ১৭টি। এই ১৭টির মধ্যে ১২টিই যাবে বিজেপির দখলে। আর বাকি ৫টি ত্রিশঙ্কু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ওই ৫টি ত্রিশঙ্কুও পরবর্তীকালে পদ্ম শিবিরের দখলেই যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
এদিন তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত নিশানা করে বলেন, ‘‘গ্রাম বাংলার মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে নন্দীগ্রামের মতো অন্যত্রও তৃণমূল একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, “চোরেদের পঞ্চায়েত মানুষ সাফ করবেই, রাজ্যের সব গ্রাম প্রস্তুত আছে। শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমি রক্ত দিতেও প্রস্তুত, কিন্তু তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না।”
তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই প্রতিরোধ শুরু হয়ে গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন তৃণমূলী এবং রাজ্য পুলিশ ভোট লুট করার কোনরকম পরিকল্পনা করে থাকে তবে, এই প্রতিরোধ আরও বেশি জোরদার হবে। যদি শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ ভোট হয় তবে নন্দীগ্রাম কেন, সারা রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীরা হারবে। এতকাল ধরে পঞ্চায়েতে যে দুর্নীতি করেছে তারা, যার ফলে রাজ্যবাসী আর ওদের সাথে নেই, ওদের সাথে আছে শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশ।”
এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।