83 World cup winning team members urge wrestlers: ‘গঙ্গায় পদক ভাসাবেন না’ কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে এই অনুরোধ করলেন ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তী ক্রিকেটার কপিল দেব, সুনীল গাওস্কররা
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের কিংবদন্তী ক্রিকেটাররা আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের বড় পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ করলেন।
83 World cup winning team members urge wrestlers: কুস্তিগিরদের লাগাতার আন্দোলনে রাজধানীর রাজপথ উত্তাল
হাইলাইটস:
• কুস্তিগিরদের পাশে এসে দাঁড়ালেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের কিংবদন্তী ক্রিকেটাররা
• কপিল দেব, সুনীল গাওস্কররের মত কিংবদন্তীরা কুস্তিগিরদের অনুরোধ করেছেন পদক জলে না ভাসানোর জন্য
• ফলে বলা যায় কুস্তিগিরদের আন্দোলন আরও জোরদার হতে পারে
83 World cup winning team members urge wrestlers: ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের কিংবদন্তী ক্রিকেটাররা আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের বড় পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ করলেন। বর্তমানে বিসিসিআই প্রধান, কিংবদন্তী খেলোয়াড় রজার বিন্নীও একই অনুরোধ করেছেন কুস্তিগিরদের কাছে।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কপিল দেব, সুনীল গাওস্কররের মত কিংবদন্তীরা কুস্তিগিরদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করেছেন তাঁদের পদক গঙ্গায় না ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য। কুস্তিগিরেরা যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন কুস্তি ফেডারেশন(Wrestling Federation of India-WFI)-এর সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে।
১৯৮৩ সালে প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন কপিল দেব। সেই দলের সদস্য ছিলেন গাওস্কর, বিন্নীর মত কিংবদন্তীরা। সেই দলের সদস্য ছিলেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, সন্দীপ পাটিল, মহিন্দর অমরনাথ, সইদ কিরমানি, যশপাল শর্মা, বলবিন্দর সিংহ সাধু, মদন লাল, কীর্তি আজাদরা। ১৯৮৩ সালের ২৫শে জুন তাঁরা লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তীরা বলেছেন, “আমাদের দেশের কুস্তিগিরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে, তা দেখে আমরা মর্মাহত। বহু কষ্টে অর্জিত পদক গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার যে ভাবনা কুস্তিগিরদের মধ্যে এসেছে সেটা দেখে আমরা চিন্তিত। বহু দিনের পরিশ্রমের পর পদক জিতেছে তারা। অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে এই পদক পেতে। আমরা অনুরোধ করব এমন কোনও বড় পদক্ষেপ যেন তারা না করে। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি বিচার পাবে কুস্তিগিরেরা। দেশের আইনের উপর ভরসা রাখুক তারা।”
গত মঙ্গলবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা হরিদ্বার গিয়েছিলেন। হরিদ্বারের গঙ্গায় তাঁদের পদক ভাসিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কৃষক নেতারা তাঁদের আটকান। অবশেষে গঙ্গায় পদক না ভাসিয়ে তাঁরা বলেন পাঁচ দিনের মধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা আবার আন্দোলনের পথে অগ্রসর হবেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ এখনও কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি।
আগেই অনিল কুম্বলে, হরভজন সিংহ, ইরফান পাঠানদের মত আরেক যুগের প্রমুখ খেলোয়াড়রা কুস্তিগিরদের পক্ষে সরব হয়েছেন। হরভজন সিংহ লিখেছেন, “সাক্ষীরা দেশের গর্ব। তাঁদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখে কষ্ট হচ্ছে। আশা করব ওরা বিচার পাবে।” কুম্বলে তাঁর টুইটার একাউন্ট থেকে টুইট করেন, “গত রবিবার (২৮শে মে) কুস্তিগিরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা ঠিক নয়। কথা বলে সব কিছুর সুরাহা সম্ভব। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” যদিও এখনকার ক্রিকেটার অর্থাৎ রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিন্দ্র যাদেজাদের মতো ক্রিকেটাররা কোনো রকম মন্তব্য এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত করেননি। এ যুগের খেলোয়াড়রা নীরব থাকলেও পুরোনো যুগের অনেক কিংবদন্তী ক্রীড়াবিদ কুস্তিগিরদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সরব হয়েছেন।
পুলিশের কাছে ২৮শে এপ্রিল ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ মহিলাদের নিগ্রহ করেছেন। বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এফআইআরে লেখা হয়েছে তিনি মহিলাদের শরীর অশালীনভাবে স্পর্শ করেছেন। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৫৪-এ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে। এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগিরের বাবা অভিযোগ করেছেন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে। ছ’জন প্রাপ্তবয়স্ক কুস্তিগিরের কথা উল্লেখ করে অন্য একটি এফআইআরে ধার্য করা হয়েছে পুলিশের কাছে।
অন্যদিকে এর প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পর পর দুদিন পথে মেনে মিছিল করেছেন। তিনিও কুস্তিগিরদের পাশে আছেন, এ কথা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। এমনকি লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণও করেছেন। সুতরাং বলা যায়, এই ঘটনায় দেশের রাজনীতি তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।