Bangla News

2000 Currency Note: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে এবার বাতিল হল ২০০০ টাকার নোট, ব্যাঙ্ক থেকে কীভাবে বদলাবেন?

২০১৬ সালে জাল নোটের রমরমা রুখতে নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সে বার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল।

2000 Currency Note: ২০১৬ সালের পর আবারও নোটবন্দির শিকার গ্রাহকরা

হাইলাইটস:

• রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নয়া নির্দেশিকা, এবার বাতিল ২০০০ টাকার নোট

• তবে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে নোট বদলানোর

• আবারও নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

2000 Currency Note: ২০১৬ সালে জাল নোটের রমরমা রুখতে নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সে বার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। যা ঘিরে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এর ফলে বিপাকে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ।এই নিয়ে সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। নোট বাতিলের পরই বাজারে আনা হয়েছিল নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট৷ ২০১৭-১৮ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল ২০০০ টাকার নোট। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০০ টাকার নোট বাজারে আনা হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে পূরণ হয়েছে৷ কারণ সেই সময় বাজারে কম মূল্যের নোটের সরবরাহ কম ছিল৷ সেই ঘাটতি পূরণ করেছিল ২০০০ টাকার নোট৷ তাই ২০১৮-১৯ সালে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও বর্তমানে অন্যান্য নোটের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে৷ সেই কারণেই ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে৷

দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল জল্পনা। এবার পড়ল সিলমোহর। ২০০০ টাকার নোট এবার বাতিলের পথে। গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ২০০০ টাকার নোট কম দেখা যাচ্ছিল। এটিএম থেকেও ২০০০ টাকার নোট কম বের হচ্ছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার বার্ষিক রিপোর্টে ২০০০ টাকার নোট সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছর, ২০২০-২১ অর্থবছর এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০০০ টাকার একটি নোটও ছাপা হয়নি। এর ফলে বাজারে ২০০০ টাকার নোটের প্রচলন অনেকটাই কমেছে। এবার তারা সরাসরি জানিয়েই দিল ২০০০ টাকার নতুন নোট আর ছাপানো হবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২০০০ টাকার ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭ সালের আগে ছাপানো৷ ফলে সেগুলির চার-পাঁচ বছরের যে স্বাভাবিক আয়ু তা ইতিমধ্যেই ফুরিয়েছে৷ ২০১৮ সালের ৩১শে মার্চ যেখানে এর পরিমাণ ছিল ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চের হিসাব বলছে, এই মুহূর্তে বাজারে যে সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট রয়েছে তাঁর মূল্য মাত্র ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা৷ ফলে ব্যাঙ্কগুলিকেও নিষেধ করা হয়েছে তারা যাতে গ্রাহকদের নতুন করে ২০০০ টাকার নোট না দেয়। তবে নতুন করে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হলেও এখনই বাতিল হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৩০শে সেপ্টেম্বর অবধি সময় দিয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষের চিন্তার কোনও কারণ নেই। আগামী ২৩শে মে থেকে ব্যাঙ্কগুলিতে ২০০০ টাকার নোট বদলানোর সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। তবে এককালীন ২০ হাজার টাকার বেশি বদলানো যাবে না ব্যাঙ্কগুলিতে। অন্যদিকে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, কোনও সীমাবদ্ধতা ছাড়াই বর্তমানে যে ব্যাঙ্কিং নিয়ম চালু রয়েছে সেই অনুযায়ীই গ্রাহকেরা তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন। ফলে আতঙ্কের কোনও কারণই আর নেই। তবে ২০০০ এর নোট ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বৈধ নথি ও কেওয়াইসি থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের যাতে নোট বদলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সুতরাং বলা যায়, গতবারের নোটবন্দির মতো সাধারণ মানুষকে আর দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না।

তবে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা ২ হাজার টাকার ধামাকা নয়। তবে এটা কোটি কোটি ভারতবাসীকে কোটি কোটি টাকার ধোঁকা দেওয়া হল। নোটবন্দির সময় যে কষ্ট ভোগ করেছি আমরা তা ভোলার নয়। যারা এই কষ্ট দিয়েছিল, তাদের ক্ষমা করা যায় না।’’ মমতার পাশাপাশি দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিতাম্বরমও কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিশানা করেছেন।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button