Stay Healthy In Heat Wave: আবারও রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা! এই তীব্র গরমে শরীরকে সুস্থ রাখার ৫টি টিপস জেনে নিন
Stay Healthy In Heat Wave: গরমকালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন
হাইলাইটস:
• গরমের সেকেন্ড ইনিংস শুরু হয়ে গেছে
• আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা রাজ্যজুড়ে
• এই সময় শরীরকে সুস্থ রাখা অন্তত জরুরি
Stay Healthy In Heat Wave: আবারও রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গপোসাগরে উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকা আমাদের রাজ্য থেকে অনেকটা পরিমাণে জলীয় বাষ্প টেনে নিয়েছে। ফলে রাজ্যের আবহাওয়া হয়েছে শুষ্ক। এর থেকেই বাড়ছে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। বিগত কয়েক বছর এইরকম গরম দেখেনি রাজ্যবাসী। এই বছর রেকর্ড ভাঙা গরম পড়েছে বাংলায়। শুধু সকালের দিকে না রাতের দিকেও তাপমাত্রা থাকছে স্বাভাবিকের থেকে উপরে। ইতিমধ্যে শহর কলকাতার তাপমাত্রা আবারও ৪০ ডিগ্রি টপকে গেছে।
আর এখানেই শেষ নয়, এই তীব্র গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে পাওয়ার কাট হচ্ছে। মানে কোনও দিক থেকেই যে শান্তি নেই বঙ্গবাসীর এ কথা বলাই যায়। এই প্রবল গরমে ডিহাইড্রেশনের পাশাপাশি দুর্বলতা, শরীরে ব্যথা, চোখে জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সাথে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হিট স্ট্রোকের (Heat Stroke) সমস্যা। এটি একটি মারাত্মক প্রাণঘাতী সমস্যা। এই মারাত্মক গরম থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে আমরা এখানে ৫টি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। দেখে নিন সেগুলি –
১. খুব দরকার না হলে তীব্র সূর্যালোকে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না:
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন দহনের দিনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে না বেরোনোই মঙ্গল। কারণ বাড়িতে থাকলে সূর্যের প্রকট আলো সরাসরি শরীরে এসে পৌঁছোয় না। এতে হিট স্ট্রোক ও হিট এক্সহউশন, সামার হেডেক এড়ানো সম্ভব। কিন্তু সাধারণ মানুষের কী বাড়িতে বসে থাকলে চলে। পেটের তাগিদে তাদের এই রোদে বেরোতেই হয়। তাই সবসময় রোদে বেরোনোর আগে এক বোতল ওআরএসের জল নিয়ে বেরোবেন।
২. অতিরিক্ত জল পান করুন:
গরমকালে জলের বোতলকে আপনার সঙ্গী বানাতে হবে। গরমে ছোট-বড় সকলেরই সারাদিনে প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া উচিত। কারণ গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত জলপান করতে হবে। এটাই তাপপ্রবাহের দিনগুলিতে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র। আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ লিটার জলপান করতে হবে। গরমকালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন। তাই শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে জলের পাশাপাশি ওআরএস, ডাবের জল খাওয়াও চালিয়ে যেতে হবে। এতে দেহে ইলেকট্রোলাইটসের ব্যালান্স ফেরে। আবার এই সময় আপনি বাড়িতে বানানো ফলের রসও খেতে পারেন।
৩. হালকা খাবার খান:
গরমকালে শরীরকে সুস্থ থাকতে বিশেষ করে নজর দিতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এইসময় তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় খাবারকে এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ তেল, মশলা যুক্ত খাবার শরীর এই সময় হজম করে উঠতে পারে না। আবার বাইরের ফাস্ট ফুডও খাওয়া চলবে না। আপনি এই সময় হালকা খাবারকে গুরুত্ব দিন। ডাল, ভাত, একটা সবজির তরকারি এবং মাছ অথবা ডিমের পাতলা ঝোলেই দুপুরের খাবার সেরে নিন। আর রাতের খাবারে রাখুন রুটি আর সবজির তরকারি। গরমকালে তাজা ফল এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়া জরুরি। এইভাবেই আপনি শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন।
৪. ছাতা, টুপি এবং সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বেরোবেন না:
এই প্রবল গরমে ১২ টার পর থেকেই বাইরে বইছে লু। এইরকম পরিস্থিতিতে শরীরকে লু-এর হাত থেকে বাঁচাতে আপনাকে ছাতা, টুপি এবং সানস্ক্রিনকে সঙ্গী বানাতেই হবে। ছাতা এবং টুপি সরাসরি মাথায় সূর্যের আলো পড়তে দেয় না। এতে কিছুটা হলেও হিট এক্সহউশন ও হিট স্ট্রোক এবং সামার হেডেকের আশঙ্কা কমে। আর সানস্ক্রিন তো রোদের হাত থেকে আমাদের ত্বককে বাঁচানোর সেরা অস্ত্র। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি UVA এবং UVB থেকে রক্ষা করতে পারে, কমপক্ষে SPF 30-যুক্ত শুধুমাত্র এরকম সানস্ক্রিনই ব্যবহার করা উচিত। প্রতি দু-তিন ঘণ্টা অন্তর ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তবেই সানট্যান এবং সানবার্নের সমস্যা দেখে ত্বক এবং শরীরকে বাঁচাতে পারবেন।
৫. দিনে ২ বার স্নান করুন:
এই গরমে জলে ডুবে থাকা ছাড়া যে আর কোনও উপায় আমরা খুঁজে পাই না। ফলে এই গরমে সময়-সুযোগ পেলেই স্নানটা সেরে ফেলুন। চিকিৎসকদের মতে, এই সময়ে দিনে ২ বার স্নান করা জরুরি। কারণ যত বেশি স্নান করবেন শরীর ততো ঠান্ডা হবে। অবশ্য ২ বারের বেশি স্নান করলেও কোনও সমস্যা নেই।
সুতরাং বলা যায় এই টিপসগুলি যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে এই তীব্র গরমেও শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি মদ্যপান অথবা ধূমপানের মতো কোনও নেশায় জর্জরিত হয়ে থাকেন, তবে শরীর সুস্থ রাখতে এইগুলি থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।