Bangla News

Abhishek Banerjee: অনুব্রত কন্যার পাশে অভিষেক, তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হলে জয় শাহকে কেন নয়?

Abhishek Banerjee: অনুব্রতহীন বীরভূমে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এবং তাঁর ছেলেকে আক্রমণ অভিষেকের

হাইলাইটস:

উত্তরবঙ্গ পর্ব শেষ করে অভিষেকের জনজোয়ার যাত্রা প্রবেশ করেছেন অনুব্রতহীন বীরভূমের মাটিতে

বীরভূমের জনসভা থেকে তিনি আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর ছেলেকে

তার সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে থাকা বিএসএফের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন

Abhishek Banerjee: উত্তরবঙ্গ পর্ব শেষ করে গতকাল জনজোয়ার যাত্রা নিয়ে অনুব্রতহীন বীরভূমের মাটিতে পা রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই ২ মাসব্যাপী তৃণমূলের এই নয়া কর্মসূচি। গতকাল ছিল এই কর্মসূচির ১৫তম দিন। আর এদিন বীরভূমের মুরারইয়ে ছিল অভিষেকের বিশাল জনসভা। গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা এখন তিহার জেলে বন্দি। যে বীরভূ্মে অনুব্রতর নামে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, সেখানে তাঁকে ছাড়া এত বড় কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল।

অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ের গ্রেফতারি নিয়েও এদিনের মুরারইয়ের সভা থেকে মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বিজেপিকেও তীব্র নিশানা করেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন সরাসরি তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে থাকা বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বাবুরা গরু চোর (Cattle Smuggling) ধরতে বেরিয়েছে। ইডি বলছে, গরু পাচারে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বিএসএফের (BSF)। এনামূল হক ও তার সহযোগীরা গরু পাচারে বিএসএফের সাহায্য নিয়েছিল। বিএসএফ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের অধীনে। তা হলে অমিত শাহকে কি ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে?’ কারণ ইডির চার্জশিটে উল্লেখ আছে বিএসএফ গরুপাচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিয়েছে। সুতরাং তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এদিকের জনসভা থেকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না।

এরপরেই অনুব্রত কন্যা সুকন্যার প্রসঙ্গ টানেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি কাউকে ডিভেন্ড করছি না। সুকন্যা মণ্ডলের ১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে তাঁকেও গ্রেফতার করেছে। অমিত শাহের ছেলের সম্পত্তিটিও বেড়েছে ৮০ হাজার গুণ। তাহলে তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? এই প্রশ্ন কেন কোনও সংবাদমাধ্যম তুলছে না?’ শুধুমাত্র এখানেই থামেননি তিনি। আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে বলেন, ‘বিএসএফ যে পাচার থেকে টাকা তোলে তা অমিত শাহের কাছে যায় না তাঁর ছেলের কাছে যায়?’ মুরারইয়ের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের পাশাপাশি ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও সরব হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।

অন্যদিকে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকালই রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেক সরাসরি অমিত শাহের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে যত শক্তি আছে প্রয়োগ করুন। গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরোবে, বন্দে মাতরম বেরোবে, তৃণমূল কংগ্রেস বেরোবে, ইডি সিবিআই-এর ভয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মাথা নত করবে না৷ যত ইডি, সিবিআই লাগাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতা তত বাড়বে৷’ পরে কটাক্ষ করেন অমিত শাহের ‘রাষ্ট্রগান’ মন্তব্য নিয়েও। বলেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত আর রাষ্ট্রীয় গান আলাদা। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর রাষ্ট্রীয় গান বন্দেমাতরমের লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই দুইয়ের পার্থক্য জানেন না। অবশ্য এই বিষয় নিয়ে টুইটারেও সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের শীর্ষ মহল কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করার পাশাপাশি ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ডও করেছে দল। আবার দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তবে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। তিনি আজও বীরভূম জেলা সভাপতি পদেই রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা গেছে একাধিকবার অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে। তাঁর জেল যাত্রার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে সেই জেলায় গিয়ে কর্মসূচি করেছেন। এমনকি কালীঘাটে জেলার নেতাদের ডেকে মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। গতকাল বীরভূমের জনসভা থেকে সুকন্যা ইস্যুতে যেভাবে অভিষেক অমিত শাহের ছেলেকে আক্রমণ করেছেন তাতে স্পষ্ট যে, এখনও দল অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ের পাশেই রয়েছে।

এইরকম রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button