শীতের শুরুতে দুপুরের পাতে শাকপাতা না হলে খাওয়া জমে না: এখানে নটে শাকের পুষ্টিকর গুনগুলি সম্বন্ধে বলা হয়েছে
নটে শাকের পুষ্টিকর গুনগুলি জেনে নিন
নটে শাক মূলত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। এই শাকটি প্রতিদিন খেলে কোলেস্টেরল, দুর্বল হাড়, কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যেতে পারে। পুষ্টিবিদ লাভনীত বাত্রা বলেন যে, এই শাকটি যেমন পুষ্টিকর তেমনই সুস্বাদু। তাই শীতের শুরুতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি নটে শাক রাখেন তবে শীতের দিনে একদম ফিট থাকবেন।
নটে শাক হল একটি ওষধি গাছ, যার পুষ্টিগুণ মারাত্মক। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A এবং খনিজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ফেনোলিক যৌগও রয়েছে। সাধারণত বলা যায়, এটি গ্যালিক অ্যাসিড এবং ভ্যানিলিক অ্যাসিড-সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা স্বাভাবিক সেলুলার ক্রিয়াকলাপের উপ-পণ্যের ক্ষতি করে, যা বার্ধক্যের লক্ষণ থেকে হৃদরোগ পর্যন্ত সবকিছু কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে:
এই শাকে ভিটামিন E, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন C-সহ লাইসিন অর্থাৎ অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা বার্ধক্য এবং ম্যালিগন্যান্ট কোষ গঠনের জন্য দায়ী ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি শরীরে ক্যান্সারের কোষগুলি বাড়তে বাধা দেয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী:
এই শাক অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক কার্যকলাপ প্রদর্শন করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করা অনেকাংশে কমায়। এতে উপস্থিত প্রোটিন রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হরমোন তৈরি করে যা ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
এই শাকের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতা হল আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষমতা। উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে এই শাকটি রক্তে LDL-এর মাত্রা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে। এতে ভিটামিন E পাওয়া যায় যা কোলেস্টেরল কমাতে সর্বাধিক কাজ করে।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকি কমায়:
ক্যালসিয়াম দেহের সুস্থ হাড় গঠন এবং হাড়কে বজায় রাখার জন্য একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। নটে শাকের মধ্যে উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড়ের সুস্থ বিকাশে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে।