Bangla News

Presidency University: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৌচালয়ে ছাত্রীদের গোপন মুহূর্তেই ভিডিও করার অভিযোগ উঠল এক ছাত্রের বিরুদ্ধে

Presidency University: এমনই এক নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

হাইলাইটস:

•প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ উঠে এল

•বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও করার অভিযোগ উঠে এল এক ছাত্রের বিরুদ্ধে

•এই ঘটনায় শিক্ষাক্ষেত্রে নিন্দার ঝড় উঠেছে

Presidency University: শহর কলকাতার একটি ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরে এক গুরুতর অভিযোগ উঠে এল। অভিযোগটি হল – বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের গোপন মুহূর্তেই ভিডিও করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্র। হ্যাঁ, এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency University)। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সূত্রের খবর, এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। ছাত্রছাত্রীদের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি, ডিরোজিও ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের শৌচাগার একেবারে লাগোয়া। মাঝে শুধু একটি মাত্র দেওয়াল। আর সেই দেওয়ালেও রয়েছে একটি মাত্র ছিদ্র। গত বুধবার দুপুরে শৌচাগারে উপস্থিত একজন ছাত্রী হঠাৎ দেখেন, একটি মোবাইল ক্যামেরা তাঁর দিকে তাক করা। ছাত্র-ছাত্রীদের শৌচাগার লাগোয়া যে ছিদ্রটি রয়েছে সেই ছিদ্র দিয়েই ছাত্রদের শৌচাগারের দিক থেকে হাত বাড়িয়ে ছাত্রীটির ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও তোলার চেষ্টা করেন এক ছাত্র। আতঙ্কিত হয়ে সহপাঠীদের সব জানান তিনি।

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মিলে ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে অভিযোগটি জানাতে যান। তারা অভিযুক্ত ছাত্রকে চিহ্নিত করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার দাবি জানান। অবশেষে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই ছাত্রী অভিযুক্ত ছাত্রকে চিহ্নিত করেন। এর ছাত্রছাত্রীরা অভিযুক্ত ছাত্রকে ধরে নেয়। কিন্তু দেখা যায়, ছাত্রটির মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে কোনও ছবি বা ভিডিও নেই। এতে সন্দেহ বাড়ায় ছাত্রের হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়াও খতিয়ে দেখেন পড়ুয়ারা। সেই সময়ে অবশ্য অভিযুক্ত ছাত্র ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

সূত্রের খবর, পরে অভিযুক্ত ছাত্র নিজেই লিখিতভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকারও করেছে। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী ছাত্রী পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন এবং কার্যত লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় বা পুলিশের কাছে দায়ের করেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে এই নিন্দনীয় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের তরফে লিখিত ভাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। ইমেল করা হয়েছে ডিন অফ স্টুডেন্টস এবং অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাঁরা তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। রেজিস্ট্রার ডঃ দেবজ্যোতি কোনার বলেন, ‘সমস্ত অভিযোগ একটি হাই পাওয়ার এনকোয়ারি কমিটির কাছে ইতিমধ্যেই তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি নেবে। বিশ্ববিদ্যালয় কঠোরতম অবস্থান বজায় রাখবে।’‌ তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কড়া ব্যবস্থা নেবে। অবশ্য অতীতের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। প্রেসিডেন্সিতেই এক ইংরেজির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্ত অধ্যাপকের কড়া বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আইসিসি। এবার এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন তারা। এবার দেখার বিষয় অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ঐতিহ্যশালী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ সামনে আসতেই শিক্ষাক্ষেত্রে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button