health

Curd Side Effects: রোগা হতে গিয়ে প্রতিদিন বাটি ভর্তি টক দই খাচ্ছেন? নিজের অজান্তেই শরীরের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

Curd Side Effects: দুধ খেতে ভাল লাগে না বলেই কি দুধের বিকল্প হিসাবে টক দই খাচ্ছেন? আদৌ কি এই অভ্যাস ভালো? জেনে নিন

 

হাইলাইটস:

  • টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান এবং উপকারী ব্যাক্টেরিয়া
  • টক দই দেহে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থকে একেবারেই জমতে দেয় না
  • তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত নয়

Curd Side Effects: দ্রুত মেদ ঝড়িয়ে নিজেকে সুন্দর দেখানোর চক্করে রোজকার পাতে দই খাচ্ছেন? দুপুরে শেষ পাতে একটু টক দই না খেলে খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়? আদৌ কি এই অভ্যাস ভাল? নাকি নিজের অজান্তেই নিজেকে দিনের পর দিন বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন? দুধ খেতে পছন্দ করেন না বলেই কি দুধের বিকল্প হিসাবে টক দই খাচ্ছেন?

We’re now on WhatsApp – Click to join

টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান এবং উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। আর সেই সব কিছু শরীরের ক্ষতিকার ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি ফ্যাট, বি ৬, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস সহ একাধিক পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই।

টক দই দেহে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থকে একেবারেই জমতে দেয় না। এছাড়া শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সাথে সাথে হজম শক্তিকেও বাড়িয়ে তোলে। টক দই খেলে দেহের বাড়তি ওজন কমারও সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু রোজ কি খাওয়া উচিত?

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন দই খাওয়া উচিত নয়। এর পরিবর্তে বাটারমিল্ক খাওয়া যেতে পারে। দইয়ের সঙ্গে গোল মরিচ, বিট নুন এবং জিরের মতো মশলাগুলি মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়া যাদের অ্যালার্জি, কাশি রোগ এবং প্রদাহজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে দই না খাওয়াই বেশি ভাল। গরম করে দই খাওয়া কখনওই উচিত নয়। টক দই গরম করলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

চাইলে প্রাতরাশে কিংবা দুপুরের খাবারে দই খাওয়া যেতে পারে। তবে রাতের খাবারে টক দই না খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভাল। এতে হজমের সমস্যায় পড়তে পারেন। এক দিন অন্তর অন্তর টক দই খেলে উপকার পাবেন। তবে প্রতিদিন দই খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন। নইলে উপকারের দিকে ছুঁটতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নিজেকে বড় বিপদের দিকে নিয়ে যাবেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে শুধু দই না খেয়ে দইয়ের সঙ্গে আখরোট, কাজু বা কিশমিশ মিশিয়ে নিতে পারেন।

এইরকম স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button