Best Cooking Oil: কোন তেল রান্নার জন্য সেরা?

Best Cooking Oil: কোন রান্নার তেল সেরা? জেনে নিন এর সুবিধা-অসুবিধা

হাইলাইটস:

  • অলিভ অয়েলকে জলপাই তেলও বলা হয়
  • ভারতে বেশিরভাগ বাড়িতে রান্নার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়

Best Cooking Oil: খাবারের আসল স্বাদ পাওয়া যায় এর মশলা ও তেল থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক তেল ব্যবহার করা উচিত। তাই শুধু সেই রান্নার তেল ব্যবহার করতে হবে যাতে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল না বাড়ে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রান্নার তেল স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো-

ভারতের বেশিরভাগ বাড়িতে রান্নার জন্য তেল ব্যবহার করা হয়। অতএব, রান্নার জন্য সর্বদা সেই তেল ব্যবহার করুন যা স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উভয় দিক থেকেই আপনার জন্য উপকারী। খাবারের স্বাদের জন্য সঠিক তেল ব্যবহার করা জরুরি। বিশেষ করে ভারতীয় খাবারে তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতীয়রা তেল ছাড়া রান্না করা খাবার খেতে পছন্দ করে না, তবে অতিরিক্ত তেল মেশানো খাবারের স্বাদ নষ্ট করে। আর এর পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও প্রমাণিত হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য, আপনার ভালো এবং সঠিক রান্নার তেল ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তেল এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে না দেয় কারণ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সমস্যাগুলি এড়াতে, রান্নার তেলের পরিমাণ কমিয়ে সঠিক রান্নার তেল বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এই রান্নার তেল স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো-

১. সরিষার তেল ব্যবহার –

ভারতে বেশিরভাগ বাড়িতে রান্নার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। সরিষার তেলে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়। এটি হার্টের জন্যও স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয় এবং এই দুটি চর্বিই শরীরের জন্য উপকারী কারণ এগুলি থেকে তৈরি খাবার খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং সেই সঙ্গে এটি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

২. অলিভ তেল –

অলিভ অয়েলকে জলপাই তেলও বলা হয়। এই তেলটিকে সেরা হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায় যা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য সেরা। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং এই তেলটি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। অনেক ধরনের স্যালাড-এও এই তেল ব্যবহার করা হয়।

৩. নারকেল তেল –

দক্ষিণ ভারতের মানুষ প্রচুর পরিমাণে এই তেল ব্যবহার করে। সেখানকার বেশির ভাগ বাড়িতেই খাবার রান্না করা হয় নারিকেল তেলে। এতে তৈরি খাবার খেলে আপনার হজমশক্তি ভালো হয় এবং আপনার যদি ফোলাভাব এবং পেট ব্যথার মতো সমস্যা থাকে তাহলেও উপশম পাওয়া যায়। সেখানে থাকলে উত্তর ভারতে বসবাসকারী মানুষ নারকেল তেলে তৈরি খাবার খুব একটা পছন্দ করেন না।

৪. চিনাবাদাম তেল –

শীতের মৌসুমে রান্নার জন্য চিনাবাদামের তেল সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ এই মৌসুমে চীনাবাদামের তেল জমে না। আর এর পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, অ্যান্টিস্পাসমোডিকের মতো গুণাগুণ, যা শরীরের সব দিক থেকে উপকার করে। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে, চিনাবাদাম তেল রান্নার জন্য ব্যবহার করা উচিত কারণ এটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখে এবং হার্টের জন্যও স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

We’re now on WhatsApp- Click to join

৫. তিলের তেল –

প্রকৃতপক্ষে, তিলের তেলও শীতকালে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর জন্য সাদা বা কালো যেকোনো তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তিলে অসম্পৃক্ত চর্বি, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভালো কাজ করে।

এইরকম আরও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.