lifestyle

Parenting Tips: নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে এসির হাওয়া ঠিক কতটা ক্ষতিকারক জেনে নিন

সদ্য মা হওয়া মহিলাদের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে নবজাতক শিশুদের জন্য এসি ঠিক কতটা ক্ষতিকারক?

হাইলাইটস:

•অতিরিক্ত গরমের মধ্যে সকলেই চায় একটু এসি বা কুলারের ঠান্ডা বাতাস খেতে

•তবে নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঠান্ডা বাতাস নিরাপদ নাও হতে পারে

•এসি বা কুলার লাগানো ঘরে নবজাতক শিশুকে রাখলে কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত জেনে নিন

Parenting Tips: বর্তমানে শহর কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পয়লা বৈশাখ থেকে গরম আরও বাড়তে পারে। ফলে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। সবাই চাইছে একটু ঠান্ডা হাওয়া খেতে। ফলে সন্তানেরও দরকার একটু আরামদায়ক ঘুম। শিশু বিশেষজ্ঞরা বাচ্চার আরামদায়ক ঘুমের জন্য বাচ্চার ঘরে এসি বা কুলার লাগানোর পরামর্শ দিতে থাকেন। এসির ঠান্ডা বাতাস গরমে এনে দেয় স্বস্তি।

কিন্তু নবজাতক শিশুদেরও কী এসিতে রাখা উচিত? এই প্রশ্নটি মূলত জাগে সদ্য মা হওয়া মহিলাদের মনে। চিকিৎসকরা বলেন ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের এসিতে রাখা যেতে পারে। তবে ঘরটি যেন খুব বেশি ঠান্ডা না হয়। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। আপনি ঘরটির তাপমাত্রা নিরীক্ষণ রাখুন এবং খেয়াল রাখুন তার যেন কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা না হয় (Parenting Tips)। এসি বা কুলার লাগানো ঘরে নবজাতক শিশুকে রাখলে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন-

ঠান্ডা বাতাস যেন সরাসরি শিশুটির গায়ে না লাগে:

শিশু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আপনি যদি আপনার ঘরে যদি এসি বা কুলার ব্যবহার করেন তবে আপনার বাচ্চাকে সেই এসি বা কুলারের ঠান্ডা বাতাস থেকে কিছুটা দূরে রাখবেন। অর্থাৎ তার শরীরে যেন সরাসরি ঠান্ডা বাতাসটি এসে না পৌঁছোয়। শিশুটি যে ঘরে রয়েছে সেই ঘরের তাপমাত্রা ২৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি হওয়া উচিত। এর কমে যেন তাপমাত্রা না যায়। তবে এর প্রভাব শিশুটির স্বাস্থ্যের উপর পড়বে।

কুলার ব্যবহার করলে ঘরের একটি জানালা খোলা রাখুন​:

অনেকেই আছেন যারা ঘর ঠান্ডা রাখতে এসির বদলে কুলার ব্যবহার করেন। অবশ্য এই মারাত্মক গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে কুলার আপনাকে বাঁচাতে পারে। তবে বাচ্চার ঘরে কুলার ব্যবহার করলে একটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাচ্চার ঘরে যদি কুলার চালানোর ব্যবস্থা থাকে তবে সেটি চালানোর আগে অবশ্যই ঘরের একটি জানালা খোলা রাখুন। তবে ঘরে ঠিকমতো বাতাস চলাচল করতে পারবে। কারণ বদ্ধ ঘরে কুলার চালানোর ফলে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য সুখকর নাও হতে পারে।

পাতলা চাদর বা কম্বল ব্যবহার করুন: 

বাচ্চার ঘরে এসি বা কুলার চললে বাচ্চার গায়ে অবশ্যই একটি পাতলা চাদর বা কম্বল দিয়ে দিন। মনে রাখবেন, আপনি মোটা চাদর বা কম্বল ব্যবহার করবেন না। এছাড়া শিশুটিকে অবশ্যই ফুল হাতার পোশাক পরাতে হবে। এতে শিশুটির ঠান্ডা লাগার আশঙ্কাটি তুলনামূলকভাবে কম হবে।

শিশুটির ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন:

এসি ব্যবহার করলে ঘরের আর্দ্রতা কিন্তু কমে যায়। যার কারণে শুষ্কতার সমস্যা বেড়ে যায়। ফলে শিশুটির ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার শিশুটি যদি এসিতে ঘুমায় তবে শিশুটির নাক শুকিয়ে যেতে পারে। যার কারণে শিশুটির হাঁচি-কাশি হতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুটির নাকের চারপাশে সামান্য তেল লাগাতে পারেন। তার সাথেই শিশুটির সারা দেহে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে সেগুলি একজন অভিভাবক হিসাবে আপনাকে নজর রাখতে হবে, সেগুলি হল –

•শিশুটি যখন ঘুমোবে তখন যেন তার মুখটি কুলারের দিকে না থাকে।

•আবার শিশুটি যখন এসি রুম থেকে বের হবে, তার আগে শিশুটির শরীরের তাপমাত্রা যেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে সেই খেয়ালটি আপনাকেই রাখতে হবে।

•শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চার ঘরে এসি বা কুলার আপনি লাগাতেই পারেন, তবে সেই সব জিনিস থেকে আগত ঠান্ডা বাতাস যেন সরাসরি আপনার শিশুর শরীরে না লাগে। কারণ এই ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগার কারণে তার ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হতে পারে। তার সাথে এটিও নজর রাখতে হবে ঘরের তাপমাত্রা যেন ২৬ ডিগ্রির কম না যায়।

এইরকম লাইফস্টাইল এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button