Rickshaw In Bangladesh: বাংলাদেশের মুকুটে যোগ হল নয়া পালক, UNESCO-র অনন্য স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র
Rickshaw In Bangladesh: ঢাকার রিক্সা ও রিক্সা চিত্র UNESCO-র ‘ঐতিহ্যগত কারুশিল্প’তে স্বীকৃতি পেয়েছে
হাইলাইটস:
- ফের UNESCO-র স্বীকৃতি এল বাংলাদেশে
- UNESCO-র তরফে স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র
- বিগত ৬ বছরের প্রচেষ্টা সত্যি হল
Rickshaw In Bangladesh: বাংলাদেশের মুকুটে এবার যোগ হল নয়া পালক। UNESCO-এর তরফে অনন্য স্বীকৃতি পেল ঢাকার রিকশা এবং রিকশা চিত্র। গত বুধবার ঢাকার রিক্সা এবং রিক্সা চিত্র ‘ঐতিহ্যগত কারুশিল্প’ ক্যাটাগরিতে স্বীকৃতি দিয়েছে UNESCO। প্রথমে আফ্রিকার বতসোয়ানার কাসানে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ বিষয়ক ২০২৩ কনভেনশনে এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
We’re now on WhatsApp – Click to join
ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিকশা হল একটি ধীরগতির বাহন। তাই এর সাজসজ্জা এবং অলঙ্করণ সহজেই পথচলতি মানুষ ও যাত্রীদের নজরে আসে। বর্তমানে রিকশা পরিণত হয়েছে একটি চলমান প্রদর্শনীতে। চিত্রিত এই রিকশাকে ঢাকার ‘নগর জীবনেরই প্রতীক’ বলেও উল্লেখ করেছে ইউনেস্কো।
বিভিন্ন প্রদর্শনী উৎসব থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রেও স্থান করে নিয়েছে এই শিল্প। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ এবং আরবান ফোক আর্টের একটি ধারা হিসেবেও এখন ধরা হয় রিকশা আর রিকশা চিত্রকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রক দীর্ঘদিন ধরেই এই চিত্রের স্বীকৃতি আদায় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। বিগত ৬ বছর ধরে চিত্রকর্মের এই ধারার স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা চলে। তবে প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। কিন্তু ২০২২ সালে ফের নথি জমা দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আবারও নতুন করে নথি তৈরি করে তা জমা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এবং প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের একান্ত সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুন ভাবে প্রস্তুত করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত আট দশক ধরে চলা এই রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসাবে ইউনেস্কোর তরফে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসাবে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং সচিব খলিল আহমদ।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক তথা বাংলাদেশী কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা জানান, গত তিন বছর ধরে রিকশাকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভের জন্য কাজ করে আসছিল বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই চূড়ান্ত আবেদন করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে রিকশা চিত্রের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ হবে।’
এর আগে অবশ্য ২০০৮ সালে বাউল, ২০১৩ সালে জামদানি শাড়ি এবং ২০১৬ সালে মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর ‘স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় স্বীকৃতি পেয়েছে। এমনকি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের শীতলপাটিকেও বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকায় জনপ্রিয় হতে শুরু করে এই রিকশা। তখন থেকেই রিকশার পেন্টিংয়েরও শুরু। তিনচাকার এই বাহনকে নানা রঙে সাজিয়ে তোলার প্রধান উদ্দেশ্য হল যাত্রীদের আকৃষ্ট করা। ফলে রিকশার গায়ে সবচেয়ে বেশি আঁকা হয়েছে চলচ্চিত্র এবং নায়ক-নায়িকাদের ছবি।
এইরকম বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।