lifestyle

আপনার চুলকে ঘন এবং দ্রুত লম্বা করার ৫টি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন

ঘরোয়া টোটকাতেই লুকিয়ে আছে আসল ম্যাজিক

হাইলাইটস:

•ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নও প্রয়োজন

•ধুলো-ময়লায় চুল অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়

•কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকে ঘন এবং দ্রুত লম্বা করাও সম্ভব

আধুনিক জীবনযাত্রায় এত দূষণ, স্ট্রেস আর পুষ্টির অভাবের চুলে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের যত্ন নেওয়ার মতোই চুলের যত্ন করাও জরুরি। লম্বা এবং ঘন চুল পাওয়ার ইচ্ছে থাকে সবার থাকে। কিন্তু নানা কারণে চুল উঠে যেতে পারে, কমে যেতে পারে চুলের ঘনত্ব। ফলে একসময় গিয়ে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। ডগা চেরা চুল নিয়ে নাজেহাল হতে হয়। দূষণ, রোদও কিন্তু এর জন্য দায়ি হয়ে থাকে। কিন্তু ঘন এবং লম্বা চুল ফিরে পাওয়া মোটেই কঠিন কোনও কাজ নয়। কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ও সঠিক হেয়ার কেয়ার রুটিন পালন করলে চুল লম্বা এবং ঘন হবে। দেখে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি –

নিয়মিত ট্রিমিং প্রয়োজন:

নিয়মিত ট্রিমিং করা দরকার। প্রতি আট থেকে দশ সপ্তাহে নিয়মিত চুল ছাঁটা দ্রুত চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতামত, এতে চুলের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হয়। আসলে অতিরিক্ত দূষণ, ধুলো-ময়লা এবং রোদের কারণে চুলের ডগার অংশটির মারাত্মক ক্ষতি হয়। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে ওঠে এবং ডগা ফেটে যায়। তার সাথেই চুলের ডগা দিনের পর দিন পাতলা হতে থাকে। আপনি যখন নিয়মিত আপনার চুল ট্রিম করেন, তখন চুলের ডগার অংশটি কেটে বাদ পড়ে যায়। ফলে চুল থাকে স্বাস্থ্যকর এবং কোনও বাধা ছাড়াই বাড়তে থাকে। দেখতেও ভালো লাগে।

শ্যাম্পুর সাথে কন্ডিশনারও ব্যবহার করুন:

মাথার ত্বকের সাথে সংযুক্ত মূল প্রান্তের তুলনায় চুলের নীচের প্রান্তগুলি পাতলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর কারণ হল নীচের প্রান্তটি ভালোভাবে পুষ্ট হয় না। তাই প্রতিবার শ্যাম্পু করার পরে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। এটি আপনার চুলের উপর একটি সুরক্ষার স্তর যোগ করে। চুলের স্বাস্থ্যও হয় দেখার মতো। ফলে চুল খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হয়।​

গরম তেল মালিশ:

অনেকেই আছেন যারা চুলে তেল দিতে পছন্দ করেন না। প্রতিদিনই শ্যাম্পু করেন। কিন্তু চুলে তেল দেওয়া ভালো। বিশেষ করে গরম তেল চুলের গোড়ায় মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। রক্ত সঞ্চালন ঠিকঠাক হলে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন সরবরাহও ঠিক হয়। ফলে চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতো। চুলে পুষ্টির কোনও অভাব হয় না। তুলোর সাহায্যে চুলের গোড়ায় এবং স্ক্যাল্পে ভালো করে এই তেল লাগিয়ে নিন। তারপর ধীরে ধীরে আঙুল দিয়ে মালিশ করুন। সামান্য চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করলেই হবে। নারকেল তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। আমন্ড অয়েল চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডিমের হেয়ার মাস্ক:

ডিমের হেয়ার মাস্ক দিয়ে আপনার চুলকে পুষ্ট করার চেয়ে ভালো প্রতিকার আর কী হতে পারে। এই মাস্ক আপনার চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করে। প্রোটিনে ভরপুর ডিম অলৌকিক হতে পারে যখন এটি আপনার চুলের পুষ্টির জন্য আসে এবং এইভাবে নতুন চুল গঠন করে। শুধু একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে আপনার চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। শ্যাম্পু করার আগে অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন এবং আপনার কাজ শেষ। মাসে একবার এটি করুন এবং ফলাফলগুলি দেখুন যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

অতিরিক্ত চাপকে বিদায় জানান:

অতিরিক্ত চাপ আপনার স্বাস্থ্যের উপর অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, চুল পড়া তাদের মধ্যে একটি উদাহরণ হতে পারে। কাজের বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অতিরিক্ত চাপ চুলের চক্রকে ব্যাহত করতে পারে, দ্রুত চুলের বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকে। মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের আনন্দে বিলাসিতা করুন যা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে বাধা হতে পারে।

এইরকম জীবনধারা এবং বিউটি সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button