Sikkim Flood Army Evacuation: সিকিমে আটকে পড়া আত্মীয় পরিজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না? সেনাবাহিনীর দেওয়া এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করুন
Sikkim Flood Army Evacuation: সেনার তরফে জানানো হয়েছে সিকিমের লাচুং ও লাচেনে আটকে পড়া পর্যটকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, দ্রুত তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে
হাইলাইটস:
- মঙ্গলবার রাতের হড়পা বানে উত্তর সিকিম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
- ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বায়ুসেনার তরফে আকাশপথে হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে
- তবে মেঘলা আকাশ, কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকার্য চালাতে সমস্যা হচ্ছে বায়ুসেনার
Sikkim Flood Army Evacuation: মঙ্গলবার রাতের হড়পা বানে উত্তর সিকিম (North Sikkim) ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিংথামের কাছে ভেসে যায় একটি সেনা ছাউনি। তিস্তা নদীর গ্রাস করেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ। ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের দেহ উদ্ধার করা গেছে, তবে নিখোঁজ শতাধিক। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বায়ুসেনার তরফে আকাশপথে হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে। এবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের সাহায্যের জন্য চালু করা হল একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (WhatsApp Number)। এই নম্বরে যোগাযোগ করলে আটকে পড়া বা নিখোঁজ পর্যটকদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেবে সেনাবাহিনী।
সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সিকিমের লাচুং ও লাচেনে যত আটকে পড়া পর্যটক রয়েছেন, তাদের তালিকা বানানো হয়েছে। তাদের দ্রুত উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। আটকে পড়া পর্যটকদের পরিজনদের সাথেও কথা বলানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কারোর আত্মীয় পরিজন সিকিমে গিয়ে আটকে পড়েন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই নম্বরে যোগাযোগ করলে, আটকে পড়া পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেবে সেনাবাহিনী। ফোন নম্বরটি হল ৯৯০৬২০০২০৫ (9906200205)।
সিকিমের এক প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজের জন্য বায়ুসেনার তিনটি এমআই-১৭ কপ্টার নামানোর ব্যবস্থা হয়েছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে। তবে মেঘলা আকাশ, কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকার্য বাঁধা প্রাপ্ত হচ্ছে। বয়স্ক ও আহতদের উদ্ধার এবং তাদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছে সেনা। লাচুং, লাচেং থেকে তাঁদের উদ্ধার করে মঙ্গনের রিঙ্ঘিম এলাকায় আনা হবে। তাদের সেখান থেকে গ্যাংটকে নিয়ে আসা হবে।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।