আপনার স্বামী কী অবসর সময় আপনাকে না দিয়ে বন্ধুদের দেয়? এমন পরিস্থিতি সামলে উঠার ৫টি উপায় জেনে রাখুন
স্বামী সময় না দিলে নিজেকে বড়োই একা লাগে
আমাদের জীবনে যেমন সঙ্গী গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনই বন্ধুদেরও কোনও বিকল্প নেই। বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে, আড্ডা দিতে আমরা সবাই ভালোবাসি। কিন্তু বিয়ের পর প্রত্যেকের জীবনেই পরিবর্তন আসে। তখন বন্ধুদের থেকে অনেক বেশি সময় আপনার সঙ্গীকে দেওয়া উচিত। তবে অনেক পুরুষ মানুষ এই তফাতটা করতে কার্যত ভুলেই যান। বিবাহিত পুরুষের অনেক বেশি দায়িত্ব থাকে। বিয়ে অনেকটা ম্যারাথন দৌড়ের মতো। এই দৌড়ে একবার নাম লেখালে আপনাকে ধৈর্য নিয়ে খেলতে হবে। মাঝ রাস্তায় হাঁফিয়ে গেলে চলবে না। আপনাকে মাথা ঠান্ডা রেখে অনেক কিছু সহ্য করতে হবে। কিন্তু অনেক বিবাহিত পুরুষ বিয়ের আগের জীবন এবং বিয়ের পরের জীবনের পার্থক্যটি বুঝতে চান না। অবসর সময়ে তারা বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে কাটিয়ে দেয়। তার স্ত্রীর জন্য একটুও সময় তার কাছে নেই। ফলে সাংসারিক জীবনে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো দরকার। কিন্তু সঙ্গীকে সময় দিতে হবে তার থেকেও বেশি। আপনার সাথে যদি এইরকম ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমাদের দেওয়া টিপসগুলি ভালো করে পড়ুন, লাভ আপনারই হবে। তাই সময় নষ্ট না করে টিপসগুলি দেখে নিন –
১. তার সাথে এই বিষয়ে কথা বলুন:
আপনার প্রথম কাজ হল তার সাথে বসে ঠান্ডা মাথায় ভালো করে কথা বলা। তার অবসর সময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা যে আপনার পছন্দ না সেটি তাকে পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বলুন। আপনি তার বিবাহিত স্ত্রী, সুতরাং আপনার অধিকার আছে কোনও কিছু খারাপ লাগলে তাকে বলার। কোনও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তাই ছলে-বলে-কৌশলে না বলে তাকে সোজাসুজি কথা বলুন। এতে তারও ভুল সংশোধন করতে সুবিধা হবে।
২. আপনার যে সময় দরকার তার থেকে সেটি বলুন:
তার অবসর সময় বন্ধুদের বদলে যে আপনাকে দেওয়া উচিত সেটি তাকে বলুন। বিবাহিত দম্পতির মধ্যে অনেক রকমই সুখ-দুঃখের কথা থাকতে পারে। আপনি যে সেইসব কথাগুলি কারোর সাথে শেয়ার করতে পারছেন না সেটি তাকে জানান। তার অবসর সময় আপনার চাই, এটি তাকে একদম স্বচ্ছ ভাষায় বলুন। বন্ধুরা বিয়ের আগে অবধিই ঠিক ছিল, এখন তার সংসার রয়েছে, স্ত্রী রয়েছে এদেরকেও যে সময় দিতে হবে তা আপনার স্বামীকে মনে করিয়ে দিন।
৩. নিজের কোনও দোষ থাকলে সেটি পর্যবেক্ষণ করুন:
অনেক সময় দেখা যায় আপনারও কিছু ভুল রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আপনিও হয়তো সেভাবে মানুষটির দিকে খেয়াল করেননি। তার ভালো লাগা – খারাপ লাগাও আপনাকে বলে উঠতে পারেন নি। ফলে সে তার বন্ধুদের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতে চান। তাই সে বেশি করে সময় বন্ধুদের দেয়। এইরকম যদি কোনও ভুল আপনার দিক থেকে থাকে তবে এখনই সংশোধন করুন। আপনি যত তাড়াতাড়ি ভুল সংশোধন করবেন ততো তাড়াতাড়ি আপনাদের সম্পর্ক মধুর হবে।
৪. কথায় কথা বাড়ে:
চলতি কথায় আছে – ‘কথায় কথা বাড়ে’। সুতরাং আপনি অহেতুক এই নিয়ে অশান্তি করবেন না। ঝামেলা করতে শুরু করলে আদতে জটিলতা বাড়তে পারে। ফলে সাংসারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই স্বাভাবিক কথাবার্তার মধ্যেই নিজেদের সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করার চেষ্টা করুন। এই বিষয়ে ঝগড়া করলে সেই আঁচ এসে পড়ে আপনাদের বিবাহিত জীবনে। তাই কোনও ঝামেলাঝাটি করতে যাবেন না।
৫. বন্ধুদের সঙ্গেও সময় কাটানো দরকার:
জীবনে বন্ধুদের কোনও বিকল্প নেই। আপনাদের বিপদে-আপদে পরিবারের পর যারা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তারাই হল প্রকৃত বন্ধু। তাই তাদের ছাড়া জীবন কল্পনা করাই যায় না। ফলে আপনার স্বামীকে বলুন আপনার জন্যও সময় বার করতে কিন্তু বন্ধুদের একেবারেই ছাড়তে বলবেন না। কারণ বন্ধুদের ছেড়ে কেউই ভালো থাকতে পারবেন না।