Ishwar Chandra Vidyasagar Birth Anniversary: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর বলা ১০টি ‘দামি’ কথা জেনে নিন যা জীবন পাল্টে দিতে পারে
Ishwar Chandra Vidyasagar Birth Anniversary: বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার ছিলেন তিনি
হাইলাইটস:
- আজ বিদ্যাসাগরের ২০৪তম জন্মবার্ষিকী
- বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর বলা ১০টি ‘দামি’ কথা জেনে নিন
- এই কথাগুলি আপনার জীবনও পাল্টে দিতে পারে
Ishwar Chandra Vidyasagar Birth Anniversary: ১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর অধুনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বর্ণপরিচয়ের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্যদিকে তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং গদ্যকার। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রাণপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ‘দয়ার সাগর’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার। এই মহান মানুষটির হাত ধরেই বর্ণের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে বঙ্গবাসীর। বাংলার মানুষের জীবনের বোধোদয়ও শুরু তাঁর বোধোদয় এবং কথামালার হাত ধরেই।
শৈশব থেকেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতিভা সর্বজনবিদিত। তাঁর পাণ্ডিত্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, কর্মনিষ্ঠা এবং নির্ভীকতা আজও বাঙালির কাছে এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়ে গেছে। একাধারে তিনি ছিলেন সংস্কৃতের পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং অন্যদিকে ছিলেন অন্যদিকে দয়ার সাগর। সংস্কৃত ভাষা এবং সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে সংস্কৃত কলেজের সহকারী সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত হলেও পরে সেখানেই লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। শুধু সাহিত্য নয়, তৎকালীন সমাজের বিধবা বিবাহ এবং নারীশিক্ষা-সহ একাধিক সমাজ সংস্কারমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
আজ তাঁর ২০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর বলা ১০টি দামি কথা জেনে নিন, যা আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারে –
১. শিক্ষা মানে শুধুমাত্র লেখা, পড়া বা শেখা নয়, শিক্ষার প্রকৃত অর্থ হল জ্ঞানলাভ।
২. অন্যের কল্যাণের থেকে বড় আর কোনও কর্ম এবং ধর্ম নেই।
৩. কোনও ব্যক্তি যদি প্রকৃত অর্থে ‘বড়’ হতে চান, তা হলে সব চেয়ে ‘ছোট’ কাজটিও তাঁর পক্ষে করা উচিত। কারণ, আত্মনির্ভরতাই সর্বোত্তম গুণ।
৪. নিজের স্বার্থের আগে সমাজ এবং দেশের স্বার্থ দেখাই হল একজন সত্যিকারের নাগরিকের ধর্ম।
৫. মানুষ যত বড়ই হয়ে যাক না কেন, অতীতকে সব সময় মনে রাখা উচিত।
৬. যাঁরা ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসী নন, অর্থাৎ নাস্তিক, তাঁদের বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা উচিত।
৭. জীবনে সফল হতে চাইলে, মাথা নত করতে শেখা উচিত।
৮. আত্মনিয়ন্ত্রণ বা কোনও কিছু থেকে নিজেকে প্রতিরোধ করা অনেক সময় বৈষম্যের কারণও হতে পারে। এর মাধ্যমে মধ্যস্থতা, সংযম এবং মনোযোগ আরও বাড়ে।
৯. একজন মানুষের সবচেয়ে বড় কাজ হল – অন্যকে সাহায্য করা এবং অন্যের মঙ্গল কামনা করা। কারণ একমাত্র সেই মানুষই পারে একটি ভালো দেশ গঠন করতে।
১০. দুঃখ এবং ভোগান্তি ছাড়া জীবন অনেকটাই নাবিকছাড়া নৌকার মতো। তাই মাথায় রাখতে হবে, নিজস্ব বিবেচনা শক্তি না থাকলে হালকা বাতাসেই স্থায়িত্ব হারানোর সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল।
বর্ণপরিচয়ের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪তম জন্মবার্ষিকীতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার তরফে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হল।
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।