আপনার প্রেমিক কী তার বন্ধুদের সামনে আপনাকে অপমান করে? এইরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ৫টি সহজ কৌশল জেনে নিন
সবার সামনে নিজের প্রেমিকাকে অপমান করা খুবই খারাপ অভ্যাস
কাউকে ভালবাসা সহজ কাজ নয়। কোনও একজন আই লাভ ইউ বলল, আর আপনি হ্যাঁ বলে দিলেন, তাতেই কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং এখান থেকেই শুরু হয় আসল দায়িত্ব। প্রেম যত্ন চায়, তাই সম্পর্কের খুঁটিনাটি দিকগুলির দিকে সবসময় নজর রাখুন। সম্পর্কে দুইজনই সমান। একজন অপরজনকে ছোট করলে আদতে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে সম্পর্কটি খারাপ দিকে মোড় নেয়। যেমন ধরুন আপনার ভালোবাসার মানুষটি তার বন্ধুদের সামনে আপনাকে বার বার ছোট করে অথবা খুবই বাজে ভাবে অপমান করে। মানুষকে ছোট করা কোনওমতেই ভালো অভ্যাস নয়, বিশেষ করে ভালোবাসার মানুষকে অপমান করার আগে দশবার ভাবা উচিত। এইরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ৫টি সহজ কৌশল জেনে নিন-
১. তাকে প্রশ্ন করুন:
আপনার প্রেমিক হয়তো কোনও ব্যাপারে আপনার উপর রেগে আছেন। কিন্তু এর মানে এই না যে, সে আপনাকে কথায় কথায় অপমান করবেন। আসলে আপনি তার অপমানের জবাব দেন না। সেই সুযোগটাই সে এতদিন ধরে কাজে লাগাচ্ছে। আপনি এবার চুপ থাকার কৌশলটি ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। তাকে প্রশ্ন করুন, তার এইরকম ব্যবহারের কারণটি ঠিক কী? তার কাছে যদি কোনও উত্তর না থাকে তাহলে ভাবছেন সে এবার বুঝতে পেরেছে এইভাবে ব্যবহার করা হয়তো তার উচিত হচ্ছে না।
২. নিজের আত্মমর্যাদার জন্য রুখে দাঁড়ান:
সম্পর্কটি আমাদের দুজনেরই। ফলে দুজনেরই উচিত দুজনকে যোগ্য সম্মান করা। কিন্তু সম্পর্কে আপনি যদি আত্মমর্যাদা হারান তবে আপনার রুখে দাঁড়ানো উচিত। যে আপনাকে সম্মান করতে পারবেন না তার সাথে বাকি জীবন কাটানো সম্ভব না। তাই যখন আপনার প্রেমিক আপনাকে সবার সামনে অপমান করবেন তখন তার এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। নিজের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে আসুন।
৩. একই ব্যবহার ফিরিয়ে দিন:
নিউটনের গতিসূত্র ভুলে যাবেন না। আপনার প্রেমিক ঠিক যে ব্যবহারটি করে আপনার সাথে তাকেও ঠিক সেই ব্যবহারটিই ফিরিয়ে দিন। এই কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারলেই দেখবেন তিনি আপনাকে অপমান করার আগে দশবার ভাববেন। তার ব্যবহারের যথেষ্ট পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এই কৌশল চেষ্টা করলেও তাকে সঠিক পথে চালিত করতে পারবেন।
৪. নিঃশব্দ থাকুন:
নিঃশব্দে থাকাটাও এক ধরণের প্রতিবাদ। তার এই অপমানজনক কথা শোনার পর তার সাথে একেবারে কথাবার্তা বন্ধ করে দিন। সে তার ভুল বোঝার পর ক্ষমা চাইতে এলে তবেই পুনরায় কথা বলা শুরু করুন। আর শেষ একটা ওয়ার্নিং দিয়ে রাখুন। সে যদি সত্যিই তার ভুল বুঝতে পারেন তবে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটাবেন না। এই কৌশলটা আপনার কাজে লাগতে পারে।
৫. সম্পর্কটি দিয়ে বেরিয়ে আসুন:
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোনও কিছুতেও কোনও কাজ হচ্ছে না। সে একদমই তার ব্যবহার পরিবর্তন করছেন না। এমন পরিস্থিতিতে এইরকম একটি মানুষের সাথে থাকা কোনওভাবেই উচিত না। সারাজীবন কাটানো তো আরওই সম্ভব না। আপনি আপনার দিক থেকে পদক্ষেপ নিন, সরে আসুন সম্পর্কটি থেকে। কারণ এইরকম টক্সিক সম্পর্ক থাকার থেকে বিচ্ছেদ অনেক বেশি সম্মানের।
এইরকম সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত রাখুন।