Women’s Reservation Bill: মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস সংসদে, আগেই অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, তার নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
Women’s Reservation Bill: সংসদে পাস হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল
হাইলাইটস:
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র মহিলা সংরক্ষণ বিলে
- এদিনের বৈঠকের সভাপতিত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
- আজ সংসদে পাস হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল
Women’s Reservation Bill: সোমবার অর্থাৎ ১৮ই সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে সংসদের অ্যানেক্স হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করা হয়নি।
এই বিলে, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার মোট আসনের ৩৩ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের মধ্যে আবার তফশিলি জাতি-উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের জন্যও সংরক্ষণের প্রস্তাবও রয়েছে। এই বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনের পর এই সংরক্ষিত আসনগুলির পরিবর্তন করা উচিত। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন বেশ কয়েকটি বিরোধী দল সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশের জন্য চাপ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। আজ নতুন সংসদ ভবনে বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন মহিলা সংরক্ষণ বিলটি পাস হয়ে যায়।
এর আগে সংসদের পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন, লোকসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদের দুই কক্ষের ইতিহাস এবং বিভিন্ন তাৎপর্যের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর এই আবেগঘন ভাষণে তাঁর মুখে শোনা যায় পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের কথাও। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, ফলে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যে বিলগুলি পেশ করা হবে, সেগুলির বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
একদিকে যেমন সংসদের বিশেষ অধিবেশন ঘোষণার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও বড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা করতে চলেছে কেন্দ্র। আর এদিনের বৈঠকে সেই জল্পনা আরও বহুগুন বেড়ে গেল। তবে ইতিমধ্যে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ অধিবেশনে আলোচনার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি সরকার তালিকাভুক্ত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তির বিষয়ে এক বিতর্কিত বিল, ‘অ্যাডভোকেটস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’ এবং ‘দ্য প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিকালস বিল ২০২৩’। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে এই তালিকায় আরও কিছু বিল যুক্ত করতেই পারে।
এইরকম রাজনৈতিক প্রতিবেদন পেতে ওয়ান ওয়ার্ল্ড নিউজ বাংলার সাথে যুক্ত থাকুন।